কী ভাবে বাড়িতেই বানাবেন ভিটামিন সি সিরাম? ছবি: শাটারস্টক।
ত্বক সুস্থ, সতেজ ও ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। তাই প্রয়োজন ভিটামিন সি’র। ত্বকের বলিরেখা ঠেকাতে, কালচে দাগছোপ হালকা করতে, ত্বক জেল্লা বৃদ্ধি করতে, আর্দ্র রাখতে— ভিটামিন সি’র গুণাগুণ প্রচুর। কিন্তু বাজারে ভাল মানের ভিটামিন সি সিরামের দাম প্রচুর। অনেক মানুষের কাছেই তা হয়তো নাগালের বাইরে। কিন্তু তাই বলে কি রূপ-রুটিন থেকে বাদ পড়বে এত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান? বাড়িতেই বানাতে পারেন এমন সিরাম।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
১/৪ আই-অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড পাউডার (অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে বিশ্বাসযোগ্য সংস্থার কিনবেন। না পেলে ভিটামিন সি ট্যাবলেটও গুঁড়িয়ে নিতে পারেন)
২ চা চামচ গোলাপ জল
১ চা চামচ গ্লিসারিন
১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
১টি ছোট কাচের শিশি, ড্রপার দেওয়া ঢাকনা হলে আরও ভাল
পদ্ধতি
শিশিতে ভিটামিন সি’র গুঁড়ো আগে ঢেলে তার পর গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলটা ফুটো করে ওষুধটা চিপে বার করে নিন। তার পর গ্লিসারিন দিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। একটু অন্ধকার ঠান্ডায় জায়গায় শিশিটা রাখবেন।
কী ভাবে লাগাবেন?
এক শিশিতে যতট সিরাম রইল সেটা এক সপ্তাহে শেষ করে ফের নতুন করে বানাতে হবে। রোজ রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে, টোনার ব্যবহার করে সিরামটা লাগিয়ে নিন। তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার লাগান। ভিটামিন সি লাগালে আপনার ত্বক সূর্যের আলোয় আরও স্পর্শকাতর হয়ে যায়। তাই পর দিন সকালে অবশ্যই ভাল করে সানস্ক্রিন লাগাবেন।
সতর্কতা
এই সিরাম মুখে ব্যবহার করার আগে হাতে ব্যবহার করে দেখুন দু’ দিন। জ্বালা ভাব হলে, মুখে ব্যবহার না করাই ভাল। সব ঘরোয়া টোটকা সব রকম ত্বকে ভাল কাজ না-ও করতে পারে। তাই সতর্ক থেকেই রূপচর্চা করা ভাল।