হাইলাইটার ছাড়াই ত্বক চকচকে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো পর্ব শেষ হতে না হতেই বিয়ের মরসুম শুরু হয়ে যায়। বিয়ের কেনাকাটা, নিমন্ত্রণ পর্ব, কেটারিং তো আছেই, কনেকে নজর দিতে হয় তাঁর নিজের রূপচর্চার দিকেও। বিয়ে বা বৌভাতের দিন সাজগোজের ভার রূপটানশিল্পীর হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ত্বক ভাল না হলে যে মেকআপ করলেও দেখতে ভাল লাগবে না। সালোঁয় গিয়ে ত্বকচর্চার পাশাপাশি বাড়িতেও কিছু যত্নআত্তি নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী তো কিনবেন। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে নজর দেবেন, তা জানেন কি?
১) ত্বকের আর্দ্রতা
ভিতর থেকে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। হায়ালুরোনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করার পাশাপাশি দিনে কম পক্ষে ৩ লিটার জল খেতেই হবে। শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে জল।
২) পরিষ্কার করা
ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। পাশাপাশি, খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়। মুখ ধোয়ার জন্য ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করতে হবে। খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর।
৩) ময়েশ্চারাইজ়ার
প্যারাবেন ফ্রি, স্বচ্ছ ময়েশ্চারাইজ়ার ক্রিম ব্যবহার করতে পারলে ভাল। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। ভিটামিন ই, সি, অ্যালো ভেরা এবং শিয়া বাটার সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে পারেন।
৪) সানস্ক্রিন মাখা
বিয়ের কয়েক দিন আগে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেন অনেকে। তা বলে সানস্ক্রিন মাখা কিন্তু বন্ধ করা যাবে না। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির প্রভাব বারান্দা, জানলা বা ছাদে গেলে ত্বকে পড়তে পারে। বাইরে না বেরোলে খুব বেশি মাত্রার এসপিএফ মাখার প্রয়োজনীয় নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ‘সিটিএম’ অর্থাৎ, ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং করার পরে এসপিএফ ৩০-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করলে ত্বকের দাগছোপ, চোখের তলার কালি দূর হয় সহজেই। ছবি: সংগৃহীত।
৫) ভিটামিন সি সিরাম
বিয়ের ক’দিন চড়া আলো, মেকআপ, অনিয়মের চোটে ত্বকের জেল্লা নষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দু’বেলা নিয়মিত ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করাই যায়। নিয়মিত ভিটামিন সি ব্যবহার করলে ত্বকের দাগছোপ, চোখের তলার কালি দূর হয় সহজেই।
৬) পুষ্টি
ত্বকের যত্নে শুধু নামী প্রসাধনী মাখলেই হবে না। পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি উপাদান হল ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ডি, জ়িঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং বিভিন্ন রকমের ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ ফল, সব্জি, বাদাম, বীজ খেতে হবে নিয়মিত। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া, তেলমশলা যুক্ত খাবার বাদ দিতে পারলে ভাল হয়।
৭) পর্যাপ্ত ঘুম
বাইরে থেকে ত্বকের পরিচর্যা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। মানসিক চাপ থাকলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘট স্বাভাবিক। তাই শোয়ার আগে মেডিটেশন বা ধ্যানের অভ্যাস করতে পারলে ভাল। রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকলে মুখ ব্রণতে ভরে যেতে পারে। মুখের জেল্লাও কমে যেতে পারে।