ব্রণের সমস্যা কমবে কী ভাবে? —প্রতীকী ছবি।
মুখের গড়ন যতই সুন্দর হোক, গাল জুড়ে বড় বড় ব্রণ সৌন্দর্যটাই মাটি করে দেয়। তার উপর সেই ব্রণ খুঁটে ফেললে দাগ, গর্ত হয়ে একাকার হয়। ব্রণ হলে কোনটা করা দরকার, কোনটা নয়, জানলে সহজেই সমস্যা থেকে মক্তি পেতে পারেন।
ফেস ওয়াশ
দিন দু’বার মৃদু কোনও ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়া প্রয়োজন। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। ত্বক তেলতেলে হলে ময়লা সহজেই জমে যায়। ত্বক পরিষ্কার না হলে সংক্রমণের ভয় থাকে। নিয়মিত ফেস ওয়াশ ব্যবহার তাই ভীষণ জরুরি।
দুশ্চিন্তা
মানসিক সমস্যার জেরে হজমের সমস্যা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ব্রণের কারণ হতে পারে। মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার ছাপ চোখেমুখে পড়ে। প্রাণায়ম, শরীরচর্চায় কিছুটা হলেও মানসিক উদ্বেগ বশে রাখা যায়। শরীরচর্চায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এর প্রভাবও ত্বকে পড়ে।
পুষ্টিকর খাবার
প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাটের মাত্রার সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন শরীর ভাল রাখতে। পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ ফল, সব্জি ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।ব্রণের সমস্যা দূর করতে পুষ্টিকর খাবারও জরুরি।
ব্রণ খোঁটা
অনেকেরই বার বার ব্রণতে হাত চলে যায়। অনেকে ব্রণ খুঁটে ফেলেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। সংক্রমণ হয়ে গেলে তা থেকে সেই জায়গায় দাগ, গর্ত তৈরি হয়। এই অভ্যাসটি তাই মনে করে বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
তোয়ালে
মুখ মোছার তোয়ালে না কেচে, শুকিয়ে ব্যবহার করলেও তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ব্রণের সমস্যা থাক বা না থাক, সব সময় কাচা তোয়ালে দিয়ে মুখ, শরীর মোছা উচিত।
হরমোনের ভারসাম্যের অভাব
শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয়। তার বিভিন্ন ভূমিকা থাকে। হরমোনের মাত্রার তারতম্য হলেও ব্রণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্য কেন নষ্ট হয়েছে তার কারণ খুঁজে, সমস্যার সমাধান দরকার।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এরপরেও ব্রণের সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।