কোঁকড়ানো চুলের যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
জন্ম থেকেই ঘন, কোঁকড়ানো চুল। তা দেখতেও মন্দ লাগে না। তবে কোঁকড়ানো চুলের জট ছাড়াতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। জট পড়ার ভয়ে খুলে রাখাও যায় না। সাধারণ সময়ে চুল আঁচড়াতে গিয়ে যে পরিমাণ চুল পড়ে, তা দ্বিগুণ হয়ে যায় জট ছাড়াতে গেলে। রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করে চুল ‘স্ট্রেট’ বা সোজা করাই যায়। কিন্তু তার মেয়াদ খুব বেশি দিন থাকে না। তা ছাড়া, রাসায়নিকের ব্যবহারে চুলের যথেষ্ট ক্ষতিও হয়। তবে, সামান্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে কোঁকড়ানো চুলও সুন্দর থাকতে পারে।
কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেবেন কী করে?
১) আর্দ্রতা বজায় রাখা:
কোঁকড়ানো চুল ভাল রাখার প্রথম শর্ত হল, মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। লম্বা, সোজা চুলের তুলনায় কোঁকড়ানো চুল রুক্ষ হয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। এই সমস্যা রুখতে অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার দেওয়া শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) লিভ-ইন কন্ডিশনার:
যে হেতু কোঁকড়ানো চুল তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে পড়ে, আর্দ্রতা নষ্ট হয়, তাই শুধু কন্ডিশনারে খুব একটা কাজ না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আর্দ্রতা বজায় রাখতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর অবশ্যই লিভ-ইন কন্ডিশনার মাখতে হবে।
৩) বেশি শ্যাম্পু নয়:
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে বার বার শ্যাম্পুও করা যাবে না। চুল বা মাথার ত্বকে যে প্রাকৃতিক তেল থাকে, ঘন ঘন শ্যাম্পু করার ফলে তা নষ্ট হতে থাকে। ফলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক এবং চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। চিকিৎসকেরা বলছেন, চুলের ধরন এবং প্রয়োজন বুঝে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করলেই হবে।
কোঁকড়ানো চুল ভাল রাখার প্রথম শর্ত হল, মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নিয়মিত চুল ছাঁটা:
আর্দ্রতার অভাবে কোঁকড়ানো চুলে ডগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল ছেঁটে ফেললে সেই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫) ঘুমের সময়ে চুলের যত্ন:
কোঁকড়ানো চুল খুলে বিছানায় ঘুমোলে জট পড়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। তাই চুল জট-মুক্ত করার সিরাম তো ব্যবহার করবেনই, সঙ্গে সিল্ক বা স্যাটিনের বালিশের খোলও ব্যবহার করতে পারে। ঘুমের সময়ে ঘষাঘষিতে চুল ঝরে বা ছিঁড়ে পড়ার পরিমাণ কমবে।