ছবি: প্রতীকী
ক’দিনের বৃষ্টিতে অতিরিক্ত গরম থেকে রেহাই মিলেছে ঠিকই। তবে বর্ষাকাল মানেই তো চুলের বারোটা। সে বৃষ্টির জল মাথায় পড়ুক বা না পড়ুক, চুল ঝরবেই। তেল, শ্যাম্পু বা ঘরোয়া টোটকাতেও এই চুল ঝরার পরিমাণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সালোঁর পেশাদার, দক্ষ কর্মীরা বলেন চুল কাটলে চুল পড়ার পরিমাণে কোনও হেরফের হয় না। চুলের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় চুল কম পড়ছে বলে মনে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাসে একটি করে স্পা করানোর পরামর্শ দেন অনেকেই। তবে সকলের পক্ষে তো প্রতি মাসে সালোঁয় গিয়ে স্পা করানো সম্ভব হয় না। তাই চুলের যত্নে বাড়িতেই এই স্পা করে ফেলা যায়। কিন্তু তার আগে জেনে রাখা জরুরি কাদের হেয়ার স্পা করা প্রয়োজন। প্রত্যেকের চুল এবং মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আলাদা স্পা রয়েছে। কোনও পেশাদার কর্মীর পরামর্শ ছাড়া বাড়িতে স্পা করতে গেলে সেই সব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে রাখা জরুরি।
কারা হেয়ার স্পা করাবেন?
রাসায়নিক দিয়ে চুলে নানা রকম কায়দা করার মাস ছয়েকের মধ্যেই অনেকের চুলের মান খারাপ হয়ে যায়। একাধিক বার চুলে রাসায়নিক দেওয়া রং করার ফলে চুল অতিরিক্ত শুষ্কও হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হেয়ার স্পা করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও মাথায় খুশকি, চুলের ডগা ফাটা, চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা থাকলেও হেয়ার স্পা করা যেতে পারে। তবে মাথার ত্বক শুষ্ক না তৈলাক্ত, খুশকি আছে কি না, রাসায়নিকের প্রভাবে চুলের মান খারাপ হয়েছে কি না— সে সব বিষয় দেখে তার পর স্পায়ের ধরন নির্বাচন করতে হবে।
ছবি: প্রতীকী
বাড়িতেই সালোঁর মতো স্পা করবেন কী ভাবে?
১) প্রথমে মাথার ত্বক এবং চুল ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।
২) শ্যাম্পু করার পর চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন।
৩) এ বার চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত নারকেল তেল বা পছন্দের যে কোনও তেল মেখে নিন।
৪) চুলের ধরন অনুযায়ী যে কোনও একটি মাস্ক চুলে মেখে রাখুন। দোকান থেকে কেনা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আবার বাড়িতে ডিম, দই বা মেয়োনিজ় দিয়ে মাস্ক তৈরি করেও নিতে পারেন।
৫) এ বার একটি তোয়ালে ফুটন্ত গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। এই গরম তোয়ালেটি পুরো চুলে জড়িয়ে রাখুন।
৬) আধ ঘণ্টা পর তোয়ালে সরিয়ে একটি ‘হেয়ার ক্যাপ’ মাথায় পরে ফেলুন।
৭) মাথায় যে মাস্ক মেখেছিলেন, তা শুকিয়ে গেলে সামান্য একটু জল স্প্রে করে নিতে পারেন।
৮) এ বার হালকা হাতে মাথার ত্বক, ঘাড়ে মালিশ করুন।
৯) ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। গরম জল ব্যবহার না করাই ভাল।
১০) চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলবেন না।