শাড়ি বা অন্য কোনও পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে একটা টিপ পরেই বেরিয়ে যান। ছবি: সংগৃহীত
জমকালো শাড়ি, হালকা রূপটান, মানানসই গয়না— এত কিছুর পরেও যেন সাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যদি কপালে একটা টিপ না থাকে। দুই ভুরুর মাঝখানে একটা ছোট্ট টিপ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে টিপ পরার চল তো রয়েছেই। ইদানীং পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গেও টিপ পরছেন অনেকে। অনেকেই আছেন, আলাদা করে তেমন রূপটান পছন্দ করেন না। শাড়ি বা অন্য কোনও পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে একটা টিপ পরেই বেরিয়ে যান। কাজল, হালকা লিপস্টিক আর ছোট্ট টিপ— সুন্দর দেখানোর জন্য যথেষ্ট একটি সাজ হতেই পারে। কিন্তু সকলের মুখের গড়ন এক রকম নয়। তাই মুখের আকৃতি অনুযায়ী টিপ বাছাই করা জরুরি। বিভিন্ন আকারের টিপ পাওয়া যায়। মুখের আকৃতি অনুযায়ী বেছে নিন কোন ধরনের টিপ আপনার মুখের সঙ্গে যাবে।
পান পাতার মতো মুখ
মুখের আকৃতি পান পাতার মতো হলে ছোট গোল টিপ পরলে দেখতে বেশি ভাল লাগবে। শাড়ির সঙ্গে অনেকেই বড় টিপ পরতে ভালবাসেন। এই আকৃতির মুখের সঙ্গে বড় টিপ কিন্তু একেবারেই যাবে না। এই ধরনের মুখের সঙ্গে বড় টিপ পরলে কপাল খুব বড় লাগে। চাইলে ছোট পাথরের টিপও পরতে পারেন।
মুখের আকৃতি অনুযায়ী টিপ বাছাই করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
ডিম্বাকৃতি মুখ
আপনার মুখ যদি ডিম্বাকৃতি হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু গোল টিপ পরতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে তো বটেই, সালোয়ার-কামিজ কিংবা জিন্সের সঙ্গেও পরতে পারেন এই ধরনের টিপ। ভাল দেখাবে। তবে ভুলেও লম্বা কোনও টিপ পরবেন না। ডিম্বাকৃতি হলে মুখের গড়ন একটু লম্বা হয়। সে ক্ষেত্রে লম্বা টিপ পরলে দেখতে ভাল লাগবে না। ছোট টিপ পরতে না চাইলে, একটু বড় মাপের টিপ পরতে পারেন।
গোল মুখের জন্য
অনেকেরই মুখের গড়ন গোলাকার। আপনার মুখের আকৃতি যদি এমন হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ভুল করেও বড় মাপের কোনও টিপ পরবেন না। বরং একটু লম্বাটে টিপ পরতে পারেন। মুখ সরু দেখাবে। তবে যদি একান্তই গোল টিপ পরতে চান, সে ক্ষেত্রে একেবারে ছোট মাপের গোল টিপ পরতে পারেন। তবে এই রকম মুখের সঙ্গে লম্বাটে টিপ সবচেয়ে ভাল যাবে।
চৌকো মুখের জন্য
মুখের গড়ন যদি হয় চৌকো, তা হলে আবার লম্বাটে নয়, বরং গোল টিপ-ই বেশি ভাল লাগবে। তবে টিপের আকার যেন বড় না হয়। তাতে মুখ আবার বেশি বড় দেখাবে। তবে খুব ছোট যেন না হয়। মাঝারি মাপের টিপ পরুন। এতে দেখতে ভাল লাগবে। আবার মুখের আকৃতিও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দেখাবে না। দু’দিকই রক্ষা হবে।