কয়েকটি ভুলে চুল পড়া বেরে যেতে পারে বর্ষায়। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্নেও বদল আনা দরকার। এক এক ঋতুতে এক এক রকম আবহাওয়ার কারণে সমস্যাও ভিন্ন হয়। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য যেমন, বর্ষা এলেই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায় অনেকটাই। ঘামে মাথার তালুতে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। পাশাপাশি চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল ঝরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও দেখা দেয় ডগা ফাটার সমস্যা। রুক্ষ হতে পারে চুল। জীবনযাপনে কয়েকটি ভুল বাড়িয়ে দিতে পারে চুলের সমস্যা।
কোন ভুল এড়িয়ে চলতে হবে?
১. অনেকেই মনে করে, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় চুলের আর্দ্রতাও স্বাভাবিক ভাবেই বজায় থাকবে। সেটা একদমই সঠিক নয়। বর্ষাতেও জল, ফলের রস জাতীয় খাবার খেতে হবে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে। না হলে শরীরের জলশূন্যতার প্রভাব ত্বক ও চুলে পড়বে। পাশাপাশি তেল মাসাজ করলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
২.চুলের যত্ন মানে শুধু তেল মাসাজ, মাস্ক লাগানো নয়। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিন জাতীয় খাবার, সব্জি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম চুল বৃদ্ধির জন্য জরুরি। শরীরের পুষ্টিতেই, চুলও ভাল থাকবে।
৩. নিয়মিত চুল ধোয়ার পর শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘ ক্ষণ ভিজে চুলে থাকলে চুলের গোড়ায় সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
সমাধান কী ভাবে
১. চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে জলের পাশাপাশি স্যুপ, ফলের রস জাতীয় তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই সময় হালকা গরম তেল চুলে মাসাজ করলে উপকার মিলবে। চুল ঝরার সমস্যা বেশি হলে হালকা হাতে তেল মাসাজ করতে হবে। তার পর কিন্তু চুল আঁচড়ানো যাবে না।
২. উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য চুলের গোড়া চিটচিটে হয়ে থাকে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে। মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে।
৩. ভিজে চুল কোনও ভাবেই বাঁধা উচিত নয়। ভিজে চুল বাঁধলে আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য গোড়া সহজে শুকোবে না। চুলের বাইরের দিকটা শুকিয়ে গেলেও গোড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজে থেকে যাবে। দিনের পর দিন এমনটা চললেই শুরু হয়ে যাবে চুল পড়া।
৪. শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর এক মগ জলে একটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুলে ঢেলে দিতে পারেন। এর পর আর চুল ধুতে হবে না। পাতিলেবুর রস চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তুলবে।