— প্রতীকী চিত্র।
প্রতি মাসে বাঁধাধরা খরচ এবং ব্যথার ভয়ে বাড়িতেই রেজ়ারের সাহায্যে দেহের অবাঞ্ছিত রোম তুলে নেন। এক বার রেজ়ার কিনলে তা ব্যবহার করা যায় অনেক দিন। ওয়াক্সের চেয়ে খরচও তুলনামূলক ভাবে কম। গোড়া থেকে রোম টেনে তুলে নেওয়ার কষ্ট ভোগ করতে হয় না। তবে যত দিন না রেজ়ারের ধার নষ্ট হচ্ছে বা ব্যবহার করতে করতে তাতে মরচে পড়ে যাচ্ছে, তত দিন তা পাল্টানোর কথা মাথায় আসে না অনেকেরই। চিকিৎসক এবং প্রভাবী ক্রিশ্চিনা সোমা বলছেন, “একটি রেজ়ার পাঁচ থেকে সাত বার ব্যবহার করার পরেই তার ব্লেড বদলে ফেলা উচিত। তা ছাড়াও রোমের ঘনত্বের উপরেও রেজ়ারের ব্লেড পাল্টে ফেলার সময় নির্ভর করে।”
অনেকেই হয়তো জানেন না, রেজ়ারের ব্লেডের তিনটি স্তরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে কাটা রোম, মৃত কোষ, সাবানের কণা জমে ধাতব অংশে মরচে পড়তে শুরু করে। যার ফলে ত্বকে কেটে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ক্রিশ্চিনা বলছেন, “এ ছাড়া ব্লেডে জমে থাকা রোমের অংশ থেকে ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এ ছাড়া ব্লেডের ধার কম থাকলে শেভ করার পর ত্বকের র্যাশ, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ইনগ্রোন রোমের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
কী ভাবে শেভ করলে এই সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে?
ক্রিশ্চিনা বলছেন, বাহুমূলের রোম চেঁচে ফেলার পর ত্বকে যদি র্যাশ, ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা এড়াতে চান, তা হলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রেজ়ার বা ব্লেড পাল্টে ফেলতেই হবে। তাড়াহুড়োর সময়ে অনেকেই শেভিং ক্রিম বা জেল ছাড়া রেজ়ার ব্যবহার করেন। এই ভুল করলে চলবে না। পাশাপাশি, রোমের অভিমুখে রেজ়ার টানার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।