সবুজ পানীয়ে ত্বকে হবে সুন্দর, জেল্লাদার! ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের সজীবতা, জেল্লা ফিরিয়ে দেবে পানীয়! শুনে অবাক হওয়ার কথাই। ত্বক ভাল রাখতে, রোদ থেকে বাঁচাতে এত দিন সানস্ক্রিনের সুরক্ষাবর্মের কথা শুনেছেন, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে রকমারি রূপটানও রয়েছে। কিন্তু তাই বলে পানীয় বদলে দেবে ত্বক!
এমনটা কিন্তু হতেই পারে। তবে এ জন্য তিতকুটে, স্বাদহীন কোনও পানীয় নয়, চুমুক দিতে হবে ঠান্ডা সুস্বাদু সবুজ পানীয়ে। যার এক চুমুকে শরীর ও মন জুড়িয়ে যাবে। বাড়তি পাওনা ত্বকের সৌন্দর্য।
তা হলে বরং খোলসা করা যাক। ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য কিন্তু শুধু বাইরের রূপটানে ফেরে না। এ জন্য পেটও ভাল থাকা দরকার। হজমে সমস্যা, লিভারের গোলযোগ হলে তার প্রভাব পড়ে চোখেমুখে। কয়েক দিন পেট পরিষ্কার না হলে মুখে ব্রণ বের হয় অনেকেরই। লিভার ঠিক ভাবে কাজ না করলে মুখে ফুটে ওঠে কালচে ভাব। তার উপর শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
সেই সবুজ পানীয়ে এমন কী আছে?
শরীর আর্দ্র রাখতে ও সুস্থ রাখতে লেবু ও পুদিনা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন শরবত। সবুজ রঙের এই শরবত নিয়মিত পান করলে রুক্ষ ত্বকেও আসবে প্রাণ।
কেন?
পুদিনার হরেক গুণ। হজমে সহায়ক। এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীর ঠান্ডা করে। প্রদাহজনিত কষ্ট কমায়। এতে আছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড। ব্রণ বা পেট ভাল না থাকার জন্য কালচে ছোপ, পুদিনা নিয়মিত খেলে অনেক সমস্যারই সমাধান হতে পারে। পুদিনা দিয়ে গরমের দিনে মুখের মাস্কও তৈরি করা যায়।
লেবুর গুণও কম নয়। এতে থাকে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধে যা বিশেষ সহায়ক। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
মধুও ব্যবহার করা হয় এই পানীয়। এতেও আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে জরুরি। মধু ছাড়াও আরও যে সব উপাদান এতে ব্যবহার হয়, তার সব ক'টিই শরীরের জন্য উপকারী।
কী ভাবে তৈরি হবে সবুজ পানীয়?
পুদিনা পাতা, লেবুর রস, বিটনুন, মধু ও মৌরি মিক্সিতে দিয়ে বেটে নিন। কাচের গ্লাসে ঢেলে মিশিয়ে দিন কয়েক টুকরো বরফ। এখানেই শেষ নয়, পাতলা করে কাটা শসার টুকরো ও তুলসীর বীজ এতে দিয়ে দিন। সবুজ এই পানীয় নিয়মিত পান করলে শরীর ভাল থাকবে। হজমশক্তি বাড়বে। বদল আসবে ত্বকেও। রুক্ষ, জেল্লাহীন ত্বক হয়ে উঠবে সজীব।