রূপটান করার সময়ে কী কী ভুল হয় বেশির ভাগেরই? ছবি: ফ্রিপিক।
বিয়েবাড়ি, পার্টি হোক বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান, নিজেকে আকর্ষণীয় একটু আধটু রূপটান কমবেশি সব মহিলাই করতে ভালবাসেন। তবে রূপটান যেমন সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনই রূপটানের সময় সামান্যতম ভুলও কিন্তু ত্বকে বয়সের ছাপ স্পষ্ট করে দিতে পারে। এখন এত রকম অ্যান্টি-এজিং ক্রিম-লোশনের ছড়াছড়ি যে, না বুঝেই রূপটানের জন্য ভুল প্রসাধনী বেছে ফেলেন অনেকে। কেবল তাই নয়, ভুল পদ্ধতিতেও রূপটান করেন। এর ফলে ত্বক জেল্লাদার দেখানোর বদলে আরও বেশি বুড়োটে দেখায়।
কোন কোন ভুলে এমন হতে পারে?
ভুল কনসিলার
চোখের নীচের ফোলা ভাব, কালির দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু ভুল শেডের কনসিলার লাগালে বা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লাগিয়ে ফেললে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে বাধ্য! কারণ সে ক্ষেত্রে যে খুঁতগুলো ঢাকতে চাইছেন, তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
পুরু ফাউন্ডেশন
ত্বকের ধরন বুঝেই ফাউন্ডেশন লাগানো উচিত। ভুল ফাউন্ডেশন পুরু করে লাগালে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য তো আসেই না, উল্টে ত্বক কুঁচকে যায়। বলিরেখা এত স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে, যে দেখতে বয়স্কই লাগে। তাঅ তরল ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন লাইটওয়েট মুজ় বা ক্রিম ফাউন্ডেশন। তাতে মুখের খুঁতগুলো সহজেই ঢাকা যাবে।
ভুল পদ্ধতিতে ব্লাশ লাগানো
বেশির ভাগ মানুষ হাসির ভঙ্গিতে ব্লাশ লাগান। মানে, হাসতে গেলে গালের যে অংশটি উঁচু হয়ে যায়, সেখানেই ব্লাশ লাগান অনেকে। কিন্তু, সেটা মারাত্মক ভুল। যখন না হেসে গম্ভীর হয়ে থাকবেন বা কথা বলবেন, তখন ব্লাশের জায়গাটা ঝুলে যাবে। তাই গাল যতটা সম্ভব ভিতরের দিকে টেনে ব্লাশ লাগানো উচিত। মেকআপের সঙ্গে ব্লাশ ঠিক করে না মেশালে মোটেই সাজ ভাল লাগবে না।