ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে কারিপাতা ভরসা হতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণের চল হলেও, ইদানিং বাঙালি রান্নাতেও কারিপাতা ব্যবহার করা হয়। ডালে, বিভিন্ন তরকারিতে কারিপাতা দিলে স্বাদ মন্দ হয় না। তবে কারিপাতা শুধু বাঙালির হেঁশেলে আটকে থাকেনি। রূপচর্চার উপকরণ হিসাবেও কারিপাতা উপকারী। চুলের যত্নে কারিপাতার ভূমিকা কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় কারিপাতা ব্যবহারের বিষয়টি অনেকেই জানেন না। ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে কারিপাতা ভরসা হতেই পারে। কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
হলুদ এবং কারিপাতা
ব্রণ দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তবে সঙ্গে থাক কারিপাতাও। ৬-৭টি কারিপাতা এবং ৪-৫ চামচ হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণটিতে এক চা চামচ লেবু মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। ব্রণর জায়গাগুলিতে এর প্রলেপ লাগান। ৮-১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩দিন ব্যবহার করলে সুফল পাবেন।
কারিপাতা, মৌরি এবং গোলাপজল
ব্রণ দূর করার মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে এই ফেসপ্যাক। এক চামচ মৌরি, কয়েকটি কারিপাতা এবং বেশ খানিকটা গোলাপজল মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। যে থকথকে মিশ্রণটি তৈরি হবে, সেটি ত্বকে মেখে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। বিরামহীন ব্যবহারে ত্বক ব্রণমুক্ত হবে।
ব্রণ দূর করার মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে কারিপাতা, মৌরি এবং গোলাপজলের ফেসপ্যাক। ছবি: সংগৃহীত।
কারিপাতা এবং লেবু
এই দুই উপকরণ ত্বকের জন্য বেশ ভাল। লেবু ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। তবে অন্য কোনও উপকরণের সঙ্গে মাখলে সমস্যা নেই। প্রথমে ১০-২০টি কারিপাতা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ব্রাউন সুগার, মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে ত্বকে লাগান। সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করলে ব্রণ চলে যাবে।