মেকআপ করতে না জানলেও সাজ হবে নিখুঁত। ছবি: সংগৃহীত।
বিশেষ কোথাও যাওয়ার কথা উঠলেই মাথায় ঘুরেফিরে মেকআপের প্রসঙ্গ চলে আসে। কারণ, মুখের ছোটখাটো খুঁত ঢাকতে মেকআপের বিকল্প নেই। তবে তা দিয়ে তো মুখের ফোলা ভাব দূর করা যায় না। মেকআপ প্রসাধনীর সাহায্যে মুখে জেল্লা আনাও সকলের কর্ম নয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, সে ক্ষেত্রে রোজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বকের জেল্লা বজায় থাকবে। মেকআপ করার আগে কয়েকটি পর্যায়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে সহজেই সমস্যার সমাধান হবে।
১) হাতে সময় কম। তাই স্টিম নিয়ে মুখের ফোলা ভাব কমানো যাবে না। এই সময়ে কাজে আসতে পারে ফেশিয়াল রোলার। মুখে পছন্দের কোনও একটি ফেশিয়াল অয়েল মেখে ওই রোলারের সাহায্যে ‘আপওয়ার্ড’ এবং ‘ডাউনওয়ার্ড’ ভঙ্গিতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে মুখে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। হাতের আলতো চাপে লিম্ফ্যাটিক গ্রন্থিতে জমে থাকা ফ্লুইডও সরে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মুখের ফোলা ভাব অনেকটা কমে।
২) ঠান্ডায় ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে, সহজে জেল্লা হারায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সিরামের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যেতে পারে। তবে রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে সিরাম মাখতে হবে বিশেষ কায়দায়। ত্বকচর্চায় প্রতি দিন ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং বা ‘সিটিএম’ করার পর সিরাম মাখতে হবে। সিরামের উপর আবার ময়েশ্চারাইজ়ার বা সানস্ক্রিনের পরত চাপিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ, বিষয়টা অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো হবে। স্বাভাবিক ভাবে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার প্রকৃষ্ট পন্থা এটি। তবে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা ‘অয়েল-ফ্রি’ ময়েশ্চারাইজ়ার বা সানস্ক্রিন মাখতে পারলেই ভাল।
৩) চোখে শুধুমাত্র কাজলের রেখা টেনে নিলে পার্টি মেকআপ সম্পূর্ণ হয় না। তার জন্য হাতের কাছে ভাল মানের একটি ‘আইশ্যাডো প্যালেট’ রাখা প্রয়োজন। ওই প্রসাধনীটি থাকলে তা দিয়েই স্মোকি কিংবা চোখে শিমারি এফেক্ট দেওয়া যেতে পারে। চোখ আঁকার ব্রাশে কালচে-খয়েরি রঙের সামান্য আইশ্যাডো নিয়ে ভুরুর ঘনত্বও বাড়িয়ে ফেলতে পারেন।
৪) কোনও অনুষ্ঠান থাকুক বা না থাকুক, মেকআপ পাউচে লিপ অয়েল থাকা প্রয়োজন। লিপস্টিক বা লিপ গ্লস ছাড়াই ঠোঁটে গোলাপি আভা আসবে। ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকলেও লিপ অয়েলে কাজ হবে।