চোখ থেকে ‘ওয়াটারপ্রুফ’ প্রসাধনী তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। — প্রতীকী চিত্র।
চেতলা অগ্রণী কিংবা বাগবাজার সর্বজনীনে ঠাকুর দেখতে গেলে কম করে ঘণ্টা দুয়েক দাঁড়াতে হবে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আর কিছু হোক না হোক, ঘেমেনেয়ে চোখের মেকআপ নষ্ট হবেই। সে সব ভেবেচিন্তেই ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী কিনেছেন। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় এই সব প্রসাধনী তোলার সময়ে। জল দিয়ে সহজে উঠতে চায় না। বরং আঠালো হয়ে যায়। গায়ের জোরে তা তুলতে গেলে চোখের পাতা খুলে হাতে চলে আসতেই পারে। পাতার উপরের লাইনার ঘষে মুছতে গেলে জ্বালা ভাবও হয়ে থাকে। অনেকেরই ত্বকে র্যাশ বেরোয়। তাই ত্বকের চিকিৎসেকরা এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে বারণ করেন। তবে একান্ত যদি ব্যবহার করতেই হয়, কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
১) প্রসাধনীর মান:
যে ধরনের প্রসাধনী মাখুন না কেন, তার মান কেমন তা দেখে নেওয়া জরুরি। চোখের উপর আইশ্যাডো, চোখের পাতায় লাইনার বা মাস্কারা— ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী মাখলে তা নামী সংস্থা থেকেই কেনার চেষ্টা করুন।
২) প্যাচ টেস্ট
নতুন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে ত্বকের নির্দিষ্ট একটি অংশে প্যাচ টেস্ট করে নিতে বলেন চিকিৎসকেরা। সরাসরি মুখের কোথাও ব্যবহার করার আগে তা থেকে র্যাশ বেরোচ্ছে কি না সে বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
৩) বেশি ব্যবহার করা যাবে না
এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। তবে একান্ত যদি করতেই হয়, তা হলে বছরে এক-আধ বার। নিয়মিত ওয়াটারপ্রুফ কাজল বা লাইনার ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি আটকানো যাবে না।
৪) আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে
এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করলে তোলার সময়ে অতিরিক্ত জোর দিতে হয়। অতিরিক্ত ঘষাঘষি করার ফলে চোখ এবং তার আশপাশের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই চোখের চারপাশের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
৫) ফেসওয়াশ না ক্লিনজ়ার
ওয়াটারপ্রুফ প্রসাধনী জলে ধুলে যায় না। তাই তুলোর মধ্যে তৈলাক্ত কোনও ক্লিনজ়ার নিয়ে আগে কাজল, লাইনার বা মাস্কারা তুলে নিন। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।