ফুল ফুটুক না ফুটুক বসন্ত আসবে ত্বকে। ছবি: সংগৃহীত
শীত পেরিয়ে বসন্ত প্রায় এসে গিয়েছে। শীতের ক্লান্তি পেরিয়ে প্রকৃতি যেমন নতুন সাজে সেজে ওঠে বসন্তে, তেমনই ত্বকের ক্ষেত্রেও বসন্ত হয়ে উঠতে পারে রূপটানকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার আদর্শ সময়। রইল এমন কিছু টোটকা যা বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নবজাগরণ ঘটাতে পারে আপনার ত্বকে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। যাঁরা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন না কারণ এটি ত্বক মারাত্মক ভাবে শুষ্ক করে দিতে পারে। কিন্তু আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। আর আর্দ্রতা বাড়লে ত্বক অ্যাসিড এবং সক্রিয় উপাদানের শক্তিশালী ফর্মুলেশনগুলি সহ্য করতে সক্ষম হয়। শীতকালে জমে থাকা নিস্তেজ ত্বককে এক্সফোলিয়েট এবং উজ্জ্বল করার জন্য বসন্তই প্রধান সময়।
২। শীতকালে অনেকেই ভারী ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে ঘামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য এই ধরনের ভারী দ্রব্যের প্রয়োজন নাও হতে পারে। তা ছাড়া এই পণ্যগুলি আঠালো ও তেলতেলে। হিউমেক্ট্যান্ট এবং ইমোলিয়েন্ট সহ হালকা ওজনের ময়েশ্চারাইজারগুলি এই সময়ে কাজে আসতে পারে।
৩। উষ্ণতা ও রোদের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিগমেন্টেশন রোধ করা খুবই জরুরি। বসন্তের ত্বকের যত্নে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার শুরু করতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বসন্ত এবং গ্রীষ্মের মাসগুলিতে সূর্যের ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ভাবে সহায়ক।
৪। বসন্ত হল রূপটানের সামগ্রীগুলি পরিবর্তন করার আদর্শ সময়। সম্ভব হলে তোয়ালে, স্পঞ্জ, মেকআপ ব্রাশ এবং অন্যান্য লাগানোর পণ্য পরিষ্কার করুন বা অদলবদল করুন। দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করা হলে এগুলিতে ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু বাসা বাধে যা ত্বকের প্রদাহ, ক্ষত ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আবার ক্রিম বা অন্য কোনও উপাদানের কৌটোর ঢাকনা খোলা থাকুক বা বন্ধ, উপাদানগুলির সক্রিয়তা সময়ের সঙ্গে কম শক্তিশালী এবং কম কার্যকর হয়।
৫। এটি ত্বকের যত্নের পণ্য বা উপাদানগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও নিয়মিত ব্যায়াম স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ব্যায়াম মুখের রক্ত প্রবাহ এবং সঞ্চালন ভাল রাখে যা বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বার করে দিতে সাহায্য করতে পারে। ব্যায়াম মুখের জন্য একটি মিনি-ফেসিয়ালের মতো কাজ করে কারণ ঘামলে ত্বকের কোষ গহ্বর বা ছিদ্রগুলি খুলে যায় এবং ময়লা এবং তেল বার করে দেয়। শরীরচর্চার ফলে যখন ঘাম হয় তারপর ত্বককে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিষ্কার করে নিলেই কেল্লাফতে।