কোন মশলার গুণে চুল পড়া কমবে? ছবি: শাটারস্টক।
চুল থাকুক মাথাতেই, বাড়ির যত্রতত্র বা চিরুনিতে নয়। আজকের শহুরে জীবনে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। বর্ষাকালে এই বিপত্তি আরও ভয়াবহ হতে দেখা দেয়। চুল পড়ার হার খুব বেড়ে যায়। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও লাভের লাভ কিছুই হয় না। চিকিৎসকরা বলেন কেবল প্রসাধনী ব্যবহার করে, সাঁলোয় গিয়ে বাইরে থেকেই চুলের পরিচর্যা করলে হবে না, চুল পড়া রোধ করতে খ্যাদ্যাভাসেও বদল আনতে হবে। রাস্তার চপ-চাউমিন-রোল-মোমো নয়, বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারেই মন দিতে হবে। এর পাশাপাশি ডায়েটে কোন পাঁচ মশলা রাখলে বর্ষার আকাশের মেঘের মতো ঘন কালো চুল পেতে পারেন, রইল তার হদিস।
১) মেথি: চুল পড়া আটকাতে মেথি খুব ভাল কাজ করে। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করে চুল উজ্জ্বল এবং লম্বা করতে সাহায্য করে। রোজ খালি পেটে নিয়ম করে মেথি ভেজানো জল খেতে পারেন। স্বাদে তেঁতো হলেও এই পানীয়ের গুণ অনেক।
২) গোলমরিচ: ঘন চুল পেতে রান্নায় গোলমরিচের গুঁড়ো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। বর্ষায় গরমাগরম চিকেন স্যুপ হোক কিংবা চায়ে গোলমরিচ গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। গোলমরিচে থাকা ভিটামিন এ, সি, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডে মতো উপদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
দারচিনিতে বিভিন্ন রকম ভিটামিন থাকে, যা প্রদাহ কমিয়ে চুলের গোড়াকে মজবুত রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) তিল: বাঙালিরা তিলের নাড়ু, চাকলি খেতে পছন্দ করলেও রান্নায় তিলের খুব বেশি ব্যবহার করেন না। তবে চুলে জেল্লা আনতে, ঘন চুল গজাতে তিল বেশ উপকারী। এতে থাকা ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার কোষগুলিতে রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে, যার ফলে চুল হয় ঘন ও কালো। স্যালাডের সঙ্গে কিংবা সব্জিতে তিল বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
৪) জিরে: জিরে কেবল বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে না, চুলের বৃদ্ধিতেও জিরার ভূমিকা আছে। জিরেতে থাকা প্রোটিন চুলের গোড়াকে মজবুত করে, ফলে চুল পড়ার সমস্যা কমে। রান্নায় জিরে বাটার ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এ ছাড়া, গরম জলে জুরে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলতে পারেন।
৫) দারচিনি: দারচিনিতে বিভিন্ন রকম ভিটামিন থাকে, যা প্রদাহ কমিয়ে চুলের গোড়াকে মজবুত রাখে। রান্নায় কেবল ফোড়ন হিসাবে নয়, চায়ের সঙ্গে কিংবা জলে ভিজিয়ে রেখে দারচিনি খেতে পারেন। চুল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।