চুলের যত্নে সিরামের ভূমিকা ঠিক কতটা? ছবি- সংগৃহীত
তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার অতীত। চুল বা মাথার ত্বকের যত্নে এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরাম। কিন্তু চুলের যত্নে এত দিনের প্রাচীন জিনিসগুলি বাদ দিয়ে হঠাৎ এই সিরাম জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক বা চুলের জন্য রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করতে বারণ করেন অনেকেই। তার মধ্যে এখন কাজের জন্য বাইরে যাওয়া আরও বেড়েছে। তাই যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা দূষণ থেকে চুল বা মাথার ত্বককে বাঁচাতে বিশেষ কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা আবশ্যিক। সবচেয়ে বড় কথা, এই সিরামগুলি প্রত্যেকের সমস্যা অনুযায়ী, বিশেষ সূত্র মেনে আলাদা করে তৈরি করা হয়। তাই মাথার ত্বক শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যায় এই সিরাম বিশেষ ভাবে কাজ করে।
কী ভাবে সাহায্য করে চুলের সিরাম?
চুলের গোড়ায় গিয়ে কাজ করে
চুলের যে কোনও সমস্যা শুরু হয় তার গোড়া থেকে। তাই সমাধানও হওয়া উচিত সেখান থেকেই। আগে ঠাকুরমা, দিদিমারা বলতেন, চুলের গোড়ায় তেল দিতে। কারণ, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগালেই সামগ্রিক ভাবে চুলের উন্নতি হবে।
চুলের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার দেওয়ার পরও চুলের সেই জেল্লা হারিয়ে গিয়েছে? চুল চকচকে করার জন্য দোকানে অনেক রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই প্রসাধনী কতটা ভাল, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু সিরাম ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। আলাদা করে আর কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
খুসকি নির্মূল করে
শীতকালে চুলের নানা রকম সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল খুশকি। ঘর ও বাইরের নানা রকম টোটকা ব্যবহার করেও যখন কোনও লাভ হয় না, তখন সিরাম কিন্তু খুশকি নির্মূল করার নির্ভরযোগ্য একটি হাতিয়ার হতেই পারে। খুশকি দূর করার পাশাপাশি, মাথার ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সিরাম।