সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে এমন প্রাকৃতিক উপাদান আছে? ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তবে যতই বিজ্ঞাপনে ‘প্রাকৃতিক উপাদনে সমৃদ্ধ’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হোক না কেন, কমবেশি সব সংস্থার প্রসাধনীতেই রাসায়নিক থাকে। যেগুলি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। অনেকে তাই প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের খোঁজ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের প্রকৃতিতেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে।
১) জিঙ্ক অক্সাইড
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করতে পারেন জিঙ্ক অক্সাইডের মতো একটি খনিজ। এই খনিজযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সাধারণ ময়েশ্চারাইজ়ারে মিশিয়ে নিতে পারেন খনিজটি। ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে এই উপাদানটি খুবই কার্যকরী।
২) টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড
জিঙ্ক অক্সাইডের মতোই টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড আরও একটি প্রাকৃতিক খনিজ। যা ত্বককে সূর্যরশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকে এই খনিজের প্রলেপ থাকলে, তা ইউভি রশ্মিকে ত্বকে প্রবেশ করতে দেয় না।
৩) র্যাস্পবেরি সিড অয়েল
এই তেলে প্রাকৃতিক ভাবেই ‘এসপিএফ’ রয়েছে। তাই ত্বকের সুরক্ষায় র্যাস্পবেরি অয়েল সানস্ক্রিনের মতোই কাজ করে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যাই দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই অয়েল সরাসরি মুখে মাখা যায় না। অন্য কোনও তেল বা ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করাই ভাল।
অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে সানস্ক্রিন। ছবি: সংগৃহীত
৪) ক্যারট সিড অয়েল
এই তেলে ‘এসপিএফ’-এর পরিমাণ র্যাস্পবেরির তুলনায় সামান্য হলেও বেশি। তাই যাঁদের দীর্ঘ সময় রোদে ঘোরাঘুরি করতে হয়, তাঁরা এই ক্যারট সিড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বকের উপর সরাসরি এই তেল ব্যবহার না করাই ভাল।
৫) নারকেল তেল
এত সব উপাদান যদি ব্যবহার করতে ইচ্ছে না-ও করে, তা হলে আদি, অকৃত্রিম নারকেল তেলে ফিরে যাওয়াই ভাল। যদিও এই তেল সরাসরি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। তবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে। যা ত্বকে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেয়।