টাক পড়া রুখতে বদল আনুন জীবনধারায়। ছবি: সংগৃহীত।
চুল ভাল রাখতে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সব বদলে ফেলেছেন। রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর বদলে ভেষজ প্রসাধনী ব্যবহার করছেন। তবুও চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কিছুতেই কমাতে পারছেন না? চুল আঁচড়ালেই মুঠো মুঠো চুল উঠে আসছে। মাথার সামনের অংশে ধীরে টাক পড়তে শুরু করেছে?
ভাল করে পরিচর্যার পরেও চুল পড়ার সমস্যা না কমলে বুঝতে হবে সমস্যা লুকিয়ে থাকতে পারে জীবনধারায়। অজান্তেই কিছু ভুল চুল ঝরার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। জেনে নিন, পাতলা চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী কী বদল দরকার জীবনে।
১) শরীরে জলের ঘাটতি হলে কেবল শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না, এমনটা নয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে কিন্তু মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। দীর্ঘ দিন শরীরে জলের ঘাটতি হলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাতে পারে। তাই নির্দিষ্ট কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে।
২) অনেকেই ওজন ঝরাতে ডায়েট শুরু করেন। তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নয়, নেটমাধ্যমের উপর নির্ভর করেই ডায়েট করতে শুরু করেন কেউ কেউ। আর এই কারণেই শরীরে ভিটামিন সি, ডি, আয়রন, জ়িঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হয়। সেই কারণেও অনেকের চুল পড়ে যায়। তাই ডায়েট করতে হলে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে করাই ভাল।
চুলে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করলেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) অনেকের ধারণা, রোজ রোজ শ্যাম্পু করলে বুঝি বেশি চুল উঠে যায়। তবে শ্যাম্পু না করলে কিন্তু মাথার ত্বকে ঘাম, ময়লা জমতে শুরু করে। আর এই কারণেও চুল ঝরতে শুরু করে। তাই চুল নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে।
৪) চুলে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করলেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই সাবধান! খুব প্রয়োজন না হলে কার্লার, স্ট্রেটনার, ড্রায়ারের মতো যন্ত্রগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। চুলে যত কম তাপ প্রয়োগ করবেন ততই ভাল।
৫) ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাসে রাশ টানা ভীষণ জরুরি। অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করলেও কিন্তু চুল উঠে যেতে পারে। তাই টাকের হাত থেকে নিস্তার পেতে হলে এই দুই অভ্যাস ছাড়তে হবে।