কত ক্ষণ মুখে স্টিম নেওয়া যায় বা প্রতি দিন নেওয়া যায় কি না, তা জানেন? ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং করলেও মাসে একবার সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করেন। মুখ পরিষ্কার থেকে শুরু করে স্ক্রাব, মাসাজ, প্যাক— একাধিক ধাপে মুখের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় এই পদ্ধতিতে। মুখ থেকে ব্ল্যাকহেড্স এবং হোয়াইটহেড্স বার করার আগে গরম জলের বাষ্প দেওয়া হয় মুখে। তার পরেই মুখটা কেমন চকচক করে ওঠে। তাই বাড়িতে বেশ কয়েক বার সেই পদ্ধতিতে রূপচর্চা করেও দেখেছেন। কিন্তু কত ক্ষণ মুখে স্টিম নেওয়া যায় বা প্রতি দিন নেওয়া যায় কি না, তা জানেন না। পুজোর আগে সালোঁর ভিড়ে যেতে ইচ্ছে না করলে বাড়িতে ফেশিয়াল করতে পারেন, শুধু তার আগে স্টিমিং সম্পর্কে বিশদে জেনে রাখা প্রয়োজন।
ফেশিয়াল স্টিমিং কী?
সর্দি-কাশিতে নাক বন্ধ হলে, বুকে কফ জমলে অনেক সময়েই গরম জলের বাষ্প নেওয়া হয়। অনেকটা সেই পদ্ধতিতেই সালোঁয় গিয়ে ফেসিয়াল করলে মাসাজের পর মুখে স্টিম বা গরম জলের বাষ্প দেওয়া হয়। তবে এমন তাপ দেওয়া হয় না যে মুখের ক্ষতি হয়।
স্টিমিংয়ের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
ত্বকে খুব বেশি গরম লাগলে, পুড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তা ছাড়া, মুখে খুব ঘন ঘন গরম জলের বাষ্প নিলে অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
মুখে গরম জলের ভাপ নিলে কী কী উপকার মিলতে পারে?
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে
স্টিমিং থেরাপি মুখের ত্বকের ছিদ্রগুলি খুলতে, মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইটহেড্সের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। নিয়মিত গরম জলের ভাপ নিলে সেগুলি নরম হয় ফলে ত্বক থেকে সহজে নির্মূল করা যায়।
রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে
গরমের দিনে ত্বকে ক্লান্তি আসে। ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করতে স্টিম থেরাপির উপর ভরসা রাখতে পারেন। এর জেরে মুখের রক্তসঞ্চালনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ফলে ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয়।
ত্বককে আর্দ্র রাখতে
স্টিমিং থেরাপি শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কার্যকর। ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করে ফেস স্টিমিং পদ্ধতি অনুসরণ করলে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ত্বক কোমল হয়ে ওঠে।
ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায়। ভাপ নিলে ত্বকে কোলাজেন ও এলাস্টিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই উপাদানগুলি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখতে সাহায্য করে।
ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেতে
আপনার ব্রণের সমস্যা থাকলে গরম জলের মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ভাপ নিতে পারে। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে গরম জলের মধ্যে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে ভাপ নিলেই হবে মুশকিল আসান।