— প্রতীকী চিত্র।
রাত জেগে সিরিজ়, সিনেমা বা রিল দেখা একেবারে নেশার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। অথচ জানেন, চোখের তলায় কালি পড়ার জন্য এই কটা কারণই যথেষ্ট। সামনে পুজো। রোজই ভাবেন, কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু কিছুই করা হয়ে ওঠে না। ঘুম যখন আসে, তত ক্ষণে রাত কেটে দিনের আলো ফুটে যায়। তবে চোখের তলার এই কালি দূর করতে বাজারে বিভিন্ন রকম ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। এত কম সময়ে চোখের কালি মুছে যাবে না। সাময়িক ভাবে চোখের কালি ঢাকতে প্রসাধনী ব্যবহার করা যেতেই পারে। পেশাদার রূপটান শিল্পীদের মতো চোখের বেস মেকআপ করার সহজ টিপ্স রইল এখানে।
১) কোল্ড কমপ্রেস
মুখের মেকআপ শুরু করার আগে অনেকেই বরফ ঘষে নেন। চোখের ক্ষেত্রেও অন্যথা হবে না। তবে চোখের উপর এবং চারপাশে সরাসরি বরফ ঘষবেন না। আইস প্যাক বা আইস বল দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করে নিতে পারেন।
২) আই ক্রিম
মেকআপ দিয়ে চোখের কালি ঢাকার আগে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। তার জন্য বিশেষ ধরনের আই ক্রিম পাওয়া যায়। তা ব্যবহার করতে পারেন। হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি দেওয়া ময়েশ্চারাইজ়ার এবং আইক্রিম হলে আরও ভাল।
৩) কালার কারেকশন
বাজারে কমলা, বেগনি, সবুজ বিভিন্ন ধরনের কালার কারেক্টর কিনতে পাওয়া যায়। কোনটি কার জন্য উপযুক্ত, তা জনতে গেলে চোখের তলার কালি কতখানি গাঢ়, তা বুঝতে হবে। কালির ঘনত্ব খুব গাঢ় হলে কমলা রং, তার চেয়ে সামান্য হালকা হলে বেগনি, আর যদি সবে মাত্র কালচে দাগ পড়তে শুরু করে সে ক্ষেত্রে সবুজ রঙের কারেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে ত্বকের রং কেমন সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৪) কনসিলার
এ বার ত্বকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে চোখের তলায় বিন্দু বিন্দু করে মেখে নিতে হবে কনসিলার। ফাউন্ডেশনের মতো কনসিলারেরও অনেকগুলি শেড কিনতে পাওয়া যায়। তবে কনসিলার চোখের তলায় মেখে ঘষতে হয় না। ব্রাশ বা স্পঞ্জের সাহায্যে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হয়।
৫) সেটিং পাউডার
কনসিলার দেওয়ার পর তা ত্বকের সঙ্গে ভাল করে বসে যাওয়া পর্যন্ত আপেক্ষা করতে হয়। সব শেষে সেটিং পাউডার দিয়ে কনসিল সেট করে নিলেই চোখের বেস মেকআপ তৈরি।