পুজোর সাজ হোক ছিমছাম অথচ সারা-কিয়ারার মতো নজরকাড়া। ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই পুজো। অনেকের কেনাকাটাই শেষের পথে। জামা থেকে জুতো, ব্যাগ থেকে গয়না— সবই হয়েছে মনের মতো। পুজোর ষষ্ঠী থেকে দশমী, ভিড়ের মাঝে নজর কাড়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে সব কিছু করেও কায়দার সাজপোশাক করতে গিয়ে অনেকে বেশ কিছু ভুল করে বসেন। খুব দামি পোশাক কিনে নিলেই হল না, পোশাককে কী ভাবে স্টাইল করছেন, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন পুজোয় প্রিয়জনের নজর কাড়তে সাজপোশাকের কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) ষষ্ঠীতে সুন্দর একটি সুতির ড্রেস পরবেন বলে বেছে রেখেছেন। পরার সময়ে অবশ্যই দেখে নেবেন ড্রেসটি কুঁচকে নেই তো? পোশাক পরার সময়ে প্রয়োজনে ইস্ত্রি করে নিতে ভুলবেন না। না হলে সুন্দর করে সাজলেও লোকের নজর যাবে আপনার কোঁচকানো পোশাকের দিকে।
দিনের বেলার সাজ যেন খুব বেশি চড়া না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
২) একই রঙের আধিক্য আপনার সপ্তমীর সাজ মাটি করে দিতে পারে। গোলাপি ড্রেস, গোলাপি জুতো, গোলাপি ব্যাগ— সব মিলিয়ে কিন্তু আপনার সাজ বড্ড একঘেয়ে দেখাবে। তাই সাজপোশাকে রং নিয়ে একটু খেলা করুন। ড্রেসের সঙ্গে মানানই অন্য রঙের জুতো পরুন। ব্যাগটি না হয় পোশাকের রঙের থেকে এক শেড গাঢ় নিলেন।
৩) পুজোতে সাজগোজ করতে কে না ভালবাসে? পুজোর ক’দিন চড়া মেকআপও করেন কেউ কেউ। তবে দিনের বেলার সাজ যেন খুব বেশি চড়া না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকুন। এখন কিন্তু ‘নো মেকআপ লুক’ কিংবা ‘গ্লোয়িং মেকআপ লুক’-ই বেশি ট্রেন্ডিং। তাই ইচ্ছা করলে আপনিও সেই স্রোতে গা ভাসাতে পারেন।
৪) জুতো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন। পুজোর সময়ে পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো পরতে গিয়ে অনেকেই কম দামি জুতো কিনে বসেন। আর মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরার সময়ে সেই জুতো ছিড়ে গিয়ে মাঝ রাস্তায় ঝক্কি পোহাতে হয়। সেই সমস্যায় পড়তে না চাইলে ন্যুড শেডের জুতো কিনে ফেলতে পারেন। শাড়ি হোক বা জিন্স সবের সঙ্গেই ভাল যাবে।
৫) খুব দামি একটা জামা সস্তার অন্তর্বাসের উপর পরে ফেলার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ঢিলেঢালা অন্তর্বাস কিংবা নিম্ন মানের অন্তর্বাস কিন্তু আপনার পুরো সাজটাই মাটি করে দিতে পারে। তাই সঠিক মাপের অন্তর্বাস কিনতে হবে। ভাল অন্তর্বাস কেনার একটু বেশি খরচ করলে আপনার আখেরে লাভই হবে।