ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
পার্লারে যাওয়ার ফুরসত নেই। অথচ সামনেই পুজো। সাজগোজ তো শুধু প্রসাধনী আর পোশাকে আটকে থাকে না, পুজোয় ত্বকেরও চাই বাড়তি জেল্লা। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে বাজারচলতি যে কোনও পণ্যের উপর ভরসা না করে ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন ঘরোয়া এই উপাদানগুলি।
তৈলাক্ত ত্বক
শসা, অ্যালো ভেরা, বেসন এবং এক চিমটে হলুদের মিশ্রণে তৈলাক্ত ত্বক হয়ে উঠবে নিটোল মুক্তোর মতো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে সজীব করে তুলতে শসা অব্যর্থ। কারণ শসার মূল উপাদান হল জল। প্রতি দিনের কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়ার পাতে শসা যেমন শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে, তেমনই ত্বকের উপরিভাগের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে এই ফল।
শুষ্ক ত্বক
রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক থেকে ট্যান তোলার প্রধান অস্ত্র টক দই। পাশাপাশি, শুষ্ক ত্বকে তৈলাক্ত ভাবও বজায় রাখতে সাহায্য করে টক দই। শুষ্ক ত্বকের প্রধান সমস্যা হল ত্বকের মৃত কোষ বা মরা চামড়া। এই মৃত কোষগুলি না সরিয়ে বাহ্যিক ভাবে যত দামি প্রসাধনীই ব্যবহার করা হোক না কেন, হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরবে না। স্ক্রাবার হিসাবে মধু, টক দই এবং ওট্মিলের প্যাক ব্যবহার করলে পুজোর আগে ত্বক হয়ে উঠবে ঝকঝকে।
স্পর্শকাতর ত্বক
ধরনের ত্বকের প্রধান সমস্যা হল ত্বকে কিছু ব্যবহার করতে না পারা। সে ক্ষেত্রে গোলাপ জল, কমলালেবুর খোসা এবং হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ত্বকের এই সমস্যা অনেক অংশেই কমিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে দিনের যে কোনও সময়ে মুখে গোলাপ জল স্প্রে করা যেতেই পারে। গোলাপ জলে কমলালেবুর খোসা এবং এক চিমটে হলুদের প্যাক মুখে আনবে সোনালি আভা।