রূপটানের অন্যতম অঙ্গ চোখ। প্রতীকী ছবি।
কর গুনে আর ১০ দিন— তার পরেই বাঙালি মাতবে শারদোৎসবে। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে এখনও। কেনাকাটা থেকে রূপচর্চা— সবটাই প্রায় শেষের পথে। পুজো মানেই সাজগোজ। তবে সারা বছরের সাজগোজের তুলনায় উৎসবের সাজ হবে অন্য। নিঁখুত। সবটাই খুব পরিপাটি করে করা প্রয়োজন। রূপটানের অন্যতম অঙ্গ চোখ। সুন্দর করে চোখ না সাজালে গোটা সাজটাই কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে হয়ে যায়। ব্রণ, ত্বকের দাগছোপ ঢাকা দেওয়া গেলেও চোখের তলার কুঁচকে যাওয়া চামড়া ঢাকতে মেক আপ সামগ্রী একমাত্র অস্ত্র হতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন আলাদা যত্নের। চোখের নীচের শিথীল চামড়া টানটান করতে ব্যবহার করতে পারেন সিরাম। বেশি মাত্রার এসপিএফ যুক্ত সিরাম এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। কেনার আগে দেখে নিতে পারেন সেই সিরামের উপকরণে মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে।
রূপচর্চার প্রতিটি ধাপ খুব নিঁখুত হওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
পর্যাপ্ত যত্ন নিয়েও হয়তো দেখলেন সুফল পাচ্ছেন না। পুজো আসতে তো আর বাকি নেই। এই সময়ে প্রতিটি মুহূর্ত খুব জরুরি। রূপচর্চার প্রতিটি ধাপ খুব নিঁখুত হওয়া প্রয়োজন। নয়তো শত চেষ্টাতেও মিলবে না সুফল। তাই রূপচর্চার যেমন প্রয়োজন আছে, তেমন কোন সময়ে রূপচর্চা করছেন, সেটাও অত্যন্ত জরুরি।
ইচ্ছামতো রূপচর্চা করলে কিন্তু হবে না। সময়মতো, নিয়ম মেনে করতে হবে। দিনের কখন চোখের তলায় সিরাম লাগালে বেশি উপকার মিলবে? ত্বক এবং ত্বকের যত্ন নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁদের মতে, চোখের যত্ন নিতে সিরাম লাগানোর আদর্শ সময় হল সকাল। দিনের শুরুতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের নীচের ফোলা ভাব, কালচে দাগছোপ দূর করতে সিরাম বা ‘আই জেল’ একমাত্র উপায় নয়। পরিশ্রম করতে হবে আরও। চোখের নীচের যত্ন নেওয়ার প্রথম ধাপ ক্লিনজিং। তার পর টোনিং। এর পর একে একে সিরাম, আইক্রিম, ময়েশ্চারাইজার এবং শেষে সানস্ক্রিন। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে তেলের পরিমাণ কম, এমন প্রসাধানী বাছবেন।
তবে এমন যত্ন এক দিন করে বন্ধ করে দিলে হবে না। রোজ করতে হবে। সকালে তো করবেনই। পুজোর আগে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাতেও এই রূপরুটিন মানতে পারেন। এতে উপকার হবে আপনারই।