বাজির ধোঁয়া, বাতাসে ভাসমান দূষিত কণা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। প্রতীকী ছবি।
দীপাবলিতে রাত জেগে পার্টি চলবেই। সেই সঙ্গে আতশবাজির ধোঁয়া ত্বকের দফারফা করে দেবে। যতই বাজি পোড়ানোতে কড়াকড়ি থাক, কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে বাজি পুড়বেই। আর বাইরে থাকলে বাজির ধোঁয়া ও বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে। ফলে ত্বকে কালচে দাগছোপ পড়বেই। স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক শুষ্কও হয়ে যেতে পারে। তার উপর দীপাবলির সাজসজ্জায় নানা রকম প্রসাধনীর ব্যবহার নিশ্চয়ই করবেন। তাতেও ত্বকের বারোটা বাজবে।
বাতাসে ভাসমান দূষিত কণা ও বাজির রাসায়নিক ত্বকের কোলাজেনের ক্ষতি করে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যেতে পারে। তাই দীপাবলিতে যতই হুল্লোড় করুন, পরদিন ত্বকের যত্ন ঠিক কী ভাবে নেবেন, রইল তার টিপ্স।
ওট্মিল ও কলার মাস্ক
একটি পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে ২ চা চামচ ওট্মিল মিশিয়ে নিন। মিহি করে বেটে এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের কালচে দাগছোপ উঠে যাবে।
হলুদ-নারকেল তেলের প্যাক
দু চা চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে এই মিশ্রণ সারা মুখে, হাতে মেখে দিন। মিনিট ২০ অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর হবে, স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে।
শশা-অ্যালো ভেরার মাস্ক
দীপাবলির সময়ে ধোঁয়া, দূষণে ত্বক জ্বালা করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ, ফুস্কুড়ি বেরিয়ে যাবে। ত্বকের প্রদাহ কমাতে শশা ও অ্যালো ভেরার থেকে ভাল কিছু নেই। একটি গোটা শসা কুরিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধীরে ধীরে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১৫-২০ মিনিট। তার পর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
ওট্মিল আর ডিমের মাস্ক
একটি বাটিতে তিন চামচ ওটমিল, ডিমের সাদা অংশ আর এক চামচ মধু আর দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ ধরে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন বার ব্যবহার করুন। ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।