শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ ‘এসএলএস’ রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত
চুলের যত্নে ঘরোয়া টোটকা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রসাধনী হল তেল, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার। চিকিৎসক থেকে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ, সকলেই রাসায়নিক বর্জিত প্রসাধনী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। নামী ব্র্যান্ড হোক বা মধ্যবিত্তের শ্যাম্পুর ‘পাতা’, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাসায়নিকের অস্তিত্ব। বিশেষ করে শ্যাম্পুতে সালফেটের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত পোষণ করেন। কারও মতে এই যৌগটি চুল বা মাথার ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয়। আবার কারও মতে মাথার ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সালফেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জানেন কি শ্যাম্পুতে এই যৌগটি কেন দেওয়া হয়?
সালফেট আসলে কী?
শুধু শ্যাম্পু নয়, পরিষ্কার করার যে কোনও জিনিসের মধ্যেই থাকে এই যৌগটি। ‘সোডিয়াম লরেল সালফেট’(এসএলএস) এবং ‘সোডিয়াম লরেথ সালফেট’ (এসএলইএস), সাধারণত দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয়। মাথার ত্বকে স্বাভাবিক ভাবে যে তেল নির্গত হয়, তার সঙ্গে বাইরের ধুলো-ময়লা, দূষণ মিশে মাথার ত্বকের ক্ষতি করে। শ্যাম্পু করার সময়ে যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ ‘এসএলএস’ রয়েছে।
কারা এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন?
মাথার ত্বক খুব ভাল করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই সালফেট কিন্তু ক্ষতিকর হতে পারে। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’-র তথ্য অনুযায়ী কারও যদি ত্বকের কোনও রকম অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে এই জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত এবং ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার না করা ভাল। ত্বকে র্যাশ, চুলকাানি, লালচে ভাব বা কোনও সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিক নির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু খরচসাপেক্ষ হলেও তা ত্বকের জন্য ভাল।