স্নানের পর দাঁত মাজা উচিত নয়। প্রতীকী ছবি।
ব্রণ নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। কিন্তু কেন এত বিড়ম্বনা, তা খুঁজে পান না। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর প্রবণতা বেশি। সেই সঙ্গে ত্বকের মরা কোষ, ব্যাক্টেরিয়াও ব্রণ হওয়ার নেপথ্যে থাকে। বাইরের খাবার বেশি করে খাওয়া, জল কম খাওয়া, ঠিক করে মেক আপ না তোলার জন্য ব্রণ হতে পারে। কিন্তু আরও একটি কারণে ব্রণ হয়। দাঁত মাজার অভ্যাসের সঙ্গে ব্রণ হওয়ার সম্পর্ক আছে বলে জানাচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকেরা। বিষয়টি কেমন?
স্নান করার পর দাঁত মাজার অভ্যাস থাকলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, দাঁত মাজার সময় মুখের ভিতরের জীবাণু গাল এবং থুতনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্নান করার পর সাধারণত মুখ ধোয়া কম হয়। ফলে জীবাণু থেকেই যায়। সেখান থেকেই র্যাশ, ব্রণ, ফুসকুড়ির জন্ম হয়। বিষয়ট নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। ফলে অজান্তেই এই ভুলটি করে ফেলেন। তাই স্নান করার পর দাঁত না মাজাই শ্রেয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মেজে নেওয়া জরুরি। দাঁত মাজতে যত দেরি হবে, মুখের ভিতর জীবাণুর দৌরাত্ম্য ততই বা়ড়বে। এতে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। তাই ঘুম ভাঙার পরেই সময় নিয়ে দাঁত মাজতে হবে। দাঁত মাজার সময়ে মুখের ভিতর থেকে জীবাণু ত্বকে পাড়ি দেয়। তবে স্নান করার সময়ে তা চলেও যায়। কিন্তু স্নানের পরে দাঁত মাজলে জীবাণু বাসা বেঁধেই থাকে ত্বকে। ব্রণর ঝুঁকি এড়াতে তাই কখনও স্নানের পর দাঁত মাজা ঠিক নয়। এটি ছাড়াও ত্বক ভাল রাখতে আর কী কী ভুল এড়িয়ে চলবেন?
১) হাত না ধুয়ে মুখে হাত দেওয়া ঠিক নয়। ফেসওয়াশ ব্যবহার করা কিংবা মেক আপ করার আগে অবশ্যই হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
২) দাঁত মাজার পর মুখ ধুয়ে নেওয়াও জরুরি। মুখের জীবাণু ত্বকে গেলেও তাতে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
৩) তৈলাক্ত ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। ঠিক করে ফেসওয়াশ করা থেকে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের খেয়াল রাখা, সবটাই করতে হবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে।