শুধু ফেসওয়াশে মুখ শুষ্ক হয়ে পড়ছে? ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেন। যতই ক্লান্ত লাগুক, এ নিয়মের অন্যথা হয় না। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে রিমুভারও ব্যবহার করেন। তার পর টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং। এত কিছু করার পরেও ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ছে। ব্রণ, র্যাশ, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা তো আছেই। সঙ্গে আবহাওয়ার খামখেয়ালি মনোভাবে কখনও মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ছে, তো আবার কখনও তেল ভরে উঠছে। অভিজ্ঞরা বলছেন, যত ভাল প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, মুখ পরিষ্কার না হলে কোনও কিছুই কাজ করবে না। এ ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী হল ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ মেথড।
‘ডবল ক্লিনজ়িং’ কী?
দু’বার বা দু’টি ধাপে দুই রকম জিনিস ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতিই হল ‘ডবল ক্লিনজ়িং’। প্রথমে তেল দিয়ে মুখের যাবতীয় ধুলো, ময়লা বা মেকআপের পরত তুলে ফেলতে হয়। তার পর মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ বা ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলতে হয়। ফলে ত্বক একেবারে শুষ্ক হয়ে যায় না।
‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করবেন কেন?
১) ফেসওয়াশ বা সাবান ত্বকের গভীরে গিয়ে সেখান থেকে অশুদ্ধি টেনে বার করে আনতে পারে না। তাই ত্বকের বিভিন্ন স্তরে জমা ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকরী।
২) মেকআপ করার সময়ে যেমন একের পর এক পরত মুখে মাখতে হয়, তেমন তোলার সময়েও প্রতিটি স্তর থেকে মেকআপ প্রসাধনী উঠছে কি না, তা খেয়াল রাখা জরুরি। ত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে মেকআপ তুলতে ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতি পরখ করে দেখা যেতেই পারে।
৩) ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করার পর ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসে। বাইরে থেকে মুখ চকচকে করে তোলার জন্য নানা রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে কিছু দিন ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ করার পরই তফাত নজরে পড়বে।