সংস্থার নামের ভরসায় এত দিন ধরে যে ক্রিম মাখছেন তা আদৌ রাসায়নিক মুক্ত? — প্রতীকী চিত্র।
ক্ষতিকর রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করে। তাই বাজার ঘুরে দামি, একেবারে ভেষজ জিনিস দিয়ে তৈরি ফেসওয়াশ, ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার, সানস্ক্রিন কিনে এনেছেন। ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না এই বিশ্বাস নিয়ে মাখতেও শুরু করেছেন। কিন্তু এক বন্ধু এসে ওই প্রসাধনীর শিশিগুলি উল্টে বিস্তারিত দেখাতেই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার জোগাড়। নানা রকম ভেষজ জিনিসের মাঝেই লেখা রয়েছে এমন কিছু রাসায়নিকের নাম, যেগুলি ব্যবহারে ত্বকের সাময়িক উন্নতি হলেও দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে আসলে ত্বকের ক্ষতিই হয়।
প্রসাধনীতে এমন কোন কোন রাসায়নিক দেখলে সতর্ক হবেন?
১) প্যারাবেন
প্রসাধনী ব্যবহারের মেয়াদ দীর্ঘতর করার জন্য এক রকম সিন্থেটিক প্রিজ়ারভেটিভ দেওয়া হয়। যা হরমোনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকেরা বলছেন ব্রেস্ট ক্যানসার টিউমারের সঙ্গেও এই সব রাসায়নিকের যোগ রয়েছে। তাই ‘প্যারাবেন ফ্রি’ লেখা থাকলেও তা আসলেই রাসায়নিকমুক্ত কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে তবেই কিনবেন।
২) প্যাথলেট্স
প্রসাধনী মাখবেন, কিন্তু তা থেকে যদি সুগন্ধই ছড়াবে না, তা কী করে হয়? বহু সংস্থাই তাদের বিভিন্ন প্রসাধনীতে সুগন্ধ বাড়িয়ে তোলার জন্যে এই রাসায়নিকটি ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই রাসায়নিকগুলি নিয়মিত ব্যবহারে মেয়েরা প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়। গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করলে ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩) খনিজ তেল
খনিজ তেল দেওয়া প্রসাধনীতেও যে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, এমনটা হয়তো বিশ্বাস করেন না কেউই। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই তেল মুখের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি বুজিয়ে দেয়। ফলে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তবে তেল যদি ব্যবহার করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অর্গান, হোহোবার মতো অয়েল ব্যবহার করতেই পারেন।