— প্রতীকী চিত্র।
দোকানে গিয়ে লিপস্টিকের রং দেখে কিনতে গেলে হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকা চাই। তার চেয়ে বরং কাজ থেকে ফিরে রাতে অনলাইন ছাড়ে বেছে রাখা পছন্দের লিপস্টিকগুলি অর্ডার করে ফেলা অনেক সহজ। এখন তো একটি-দু’টি নয়, এমন বহু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে দু’-তিন দিন অন্তরই বিভিন্ন রকম ছাড় দেওয়া হয়। সেই লোভে পড়ে একগুচ্ছ লিপস্টিক তো কিনে ফেলেছেন। কিন্তু এত লিপস্টিক তো একসঙ্গে মেখে শেষ হবে না। পড়ে থেকে থেকে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনীটি ঠোঁটে মাখলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতেই পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠোঁটের যত্নে শুধু দামি লিপস্টিক কিনলেই হবে না। তার স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে। দেখতে হবে লিপস্টিকের পরিচ্ছন্নতা ঠিক মতো বজায় রাখা যাচ্ছে কি না।
১) কী ভাবে সংরক্ষণ করছেন
লিপস্টিকে সরাসরি রোদ লাগলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তা ভাল রাখতে গেলে তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে। এই কারণেই অনেকে ফ্রিজের মধ্যে লিপস্টিক রাখেন।
২) মেয়াদ পেরিয়ে যায়নি তো
অন্যান্য যে কোনও জিনিস কেনার আগে যেমন মেয়াদ দেখে নেন, লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও যেন এর অন্যথা না হয়। যত দামি লিপস্টিক হোক না কেন, কেনার সময়ে তৈরির মাস এবং বছর দেখে নেবেন।
৩) ফাটা ঠোঁট আগে সারিয়ে নিন
ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক মাখলে সেখান থেকেও ঠোঁটে সংক্রমণ হতে পারে। তাই আগে লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ফাটা ঠোঁট সারিয়ে তার পর লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
— প্রতীকী চিত্র।
৪) সর্বজনীন না হওয়াই ভাল
মা, দিদি, বোনের সঙ্গে নিজের ব্যবহার করা লিপস্টিক ভাগ করে না নেওয়াই ভাল। এক জনের ঠোঁটে ব্যবহার করা জিনিস, অন্য জনের ঠোঁটে ব্যবহার করলে ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে তাই এই সমস্ত জিনিস ব্যক্তিগত রাখাই ভাল।
৫) অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করতে পারলে ভাল
এক লিপস্টিক যদি অনেকে ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে এক বার ব্যবহারযোগ্য ‘অ্যাপ্লিকেটর’ রাখুন। কিন্তু ঠোঁটে লাগানোর পর তা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।