ক্ষতস্থান নিরাময়ের সময়ে কোন ভুল ভুলেও নয়? ছবি: সংগৃহীত।
রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াইয়ে ছেঁকা খাননি, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। হেঁশেলে কাজ করলে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনাও হামেশাই ঘটে থাকে। তাড়াহুড়োয় জামাকাপড় ইস্তিরি করতে গিয়ে কত বার ছেঁকা লাগে। সেই সময় জ্বালা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। নিজের মতো চিকিৎসা করতে গিয়ে মাঝেমাঝেই কিছু ভুল হয়ে যায়। তার থেকে জন্ম নেয় বড় কোনও সমস্যা। জেনে নিন, পুড়ে গেলে কোন ভুলগুলি একেবারেই করা চলবে না।
১) পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে অনেক সময়ে ফোস্কা পড়ে যায়। ব্যথা কমাতেই অনেকেই সেই ফোস্কা ফাটিয়ে ফেলেন। এতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। ফোস্কা নিজে থেকে না ফাটলে জোর করে ফাটানোর দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
২) পুড়ে গেলেই জ্বালা কমাতে ক্ষতস্থানে টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেশি থাকে। টুথপেস্ট নয়, বরং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল কোনও মলম লাগাতে পারেন। ক্ষত কমাতে মাখন লাগালেও উপকার পাবেন।
৩) পোড়া স্থানে বরফ ঘষে নিলে সাময়িক ভাবে জ্বালা কমে। কিন্তু এতে ওই স্থানের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোড়া স্থানে ঠান্ডা জল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। সাধারণ জল ব্যবহার করলেই ঠিক আছে।
৪) রান্না করতে গিয়ে আকছারই হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে ভাল করে দু’হাত ধুয়ে নেওয়া জরুরি। রান্না করার সময়ে হাতে নুন, তেল, হলুদ লেগেই যায়। সেই হাতে ক্ষতস্থান স্পর্শ করবেন না। এতে ক্ষত আরও গভীর হতে পারে।
৫) হাতের কোনও অংশ পুড়ে গেলে জ্বালা কমাতে বেশি ক্ষণ জলে ডুবিয়ে না রাখাই ভাল। চিকিৎসকেরা বলছেন, খুব বেশি হলে ১০ মিনিট ক্ষতস্থান জলের নীচে রাখতে পারেন। তার বেশি ক্ষণ জলের নীচে না রাখাই ভাল।