রাতে এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার। মেদও বাড়বে না, ঘুমও হবে। ছবি: শাটারস্টক।
সকালের খাওয়া থেকে নৈশভোজ। এর মধ্যেই নির্ভর করে সারা দিনে কতটুকু ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করছে এবং সেই খাবার কতখানি স্বাস্থ্যকর। সকাল ও রাত, এই দুটো খাবারের মধ্যে সকালের খাবার ভরপেট খান, ক্ষতি নেই। বরং উপকার। কিন্তু রাতের খাবার যদি ভরপেট খেতে যান তা হলেই বিপদ। কাজেই রাতদুপুরে মাঝে মাঝে খিদে পেলেই ফ্রিজ খোলাও বারণ।
রাতে আমাদের বিপাকহার খুব কম থাকে। তাই খাবার হজম হতে চায় না সহজে। সুতরাং রাতের খাবার নিয়ে খুবই সচেতন থাকা জরুরি। মেদ কমানো থেকে অনিদ্রার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা, এর অনেকটাই নির্ভর করে রাতে কী খাচ্ছেন তার উপর। অনেকেরই রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু খানিক পরে খিদে পেলে ফের উঁকিঝুঁকি শুরু হয় ফ্রিজে।
কেউ কেউ আবার নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলেও খাবার পাতে কিছু ‘ভুল’ পদ রেখে ফেলেন, যে কারণে ওজন যেমন বাড়ে, তেমনই অনিদ্রার কারণও হানা দেয়। আপনিও নিজের ও বাড়ির সদস্যদের পাতে এ সব পদ রাখছেন না তো? তা হলে আজই সতর্ক হোন।
আরও পড়ুন: কৈশোরে চোখের সমস্যা এবং প্রতিকারের উপায়
শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?
আলু ভাজা ও চিপ্স: জিভের স্বাদকোরককে উত্তেজিত করে এ সব খাবার তা ঠিকই। কিন্তু এই ধরনের খাবারের গ্লাইকোজেন ইনডেক্সও বেশি আর ফ্যাটের পরিমাণও অনেক। তাই এই সব খাবার অবশ্যই রাতের বেলা এড়িয়ে চলুন। দিনের অন্য সময় এ সব খাবার খেলেও ক্ষতি হয়, তবু বিপাক হার বেশি থাকায় হজম হয় কিছুটা। রাতে সেটুকু উপায়ও থাকে না।
চা-কফি: না, রাত জাগলেও চা-কফি একেবারে নয়। চা ও কফিতে ক্যাফিন থাকে। এটি মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে। তাই স্নায়ুকে শান্ত হয়ে ঘুম আসতে দেয় না।
আইসক্রিম: এতেও প্রচুর ফ্যাট। রাতে খেলে সেই জমে যাওয়া ফ্যাটটুকু হজম হতে চায় না। তাই যত গরমই পড়ুক আর যত লোভই হোক, ঘুমোনোর চার ঘণ্টা আগে আর আইসক্রিম নয়। যে কোনও ফ্যাট জাতীয় খাবারই একান্ত খেতে হলে ঘুমোনোর চার ঘণ্টা আগে খান।
আরও পড়ুন: ঘরে ড্যাম্প পড়তে পারে দামি সিমেন্ট-রং ব্যবহার করলেও, মুক্তির উপায় জানেন?
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
পিৎজা, বার্গার: রাতের পার্টিতে দেদার পিৎজা আর বার্গারের আয়োজন রাখছেন? চিজ মাখনে ঠাসা পিৎজা ও বার্গার যেমন হজম সমস্যাকে উস্কে দেয়, তেমনই ফ্যাট বাড়িয়ে পরিপাকতন্ত্রকে ব্যস্ত করে তোলে। তাই এদের যত এড়িয়ে চলবেন, ততই লাভ।
মদ: রাতে মদ্যপানের স্বভাব অনেকেরই থাকে। অ্যালকোহল শরীরে প্রবে? করলেই স্নায়ু ও কোষগুলিকে উত্তেজিত করে তোলে। তাই এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন অবশ্যই। অতিরিক্ত মদ্যপান ফ্যাট জমানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের জল শোষণ করে তাকে শুষ্ক করে দেয়। ঘুমের সমস্যা ও মেদবৃদ্ধি দুইয়ের জন্যই মদ তাই প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী।