কখন যেতেই হবে হাসপাতালে? ছবি: সংগৃহীত
রাজ্যে যে ভাবে প্রত্যেক দিন বাড়ছে কোভিড-সংক্রমণ তাতে সকলের মধ্যেই এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, করোনা মানেই তার প্রভাব মারাত্মক হবে, এমন নয়। বহু করোনা আক্রান্ত বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা এবং সজাগ থাকা।
করোনা রোগীদের সুবিধার্থে শহরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু আইসোলেশন হোম। কিন্তু যে সুযোগ-সুবিধাগুলি এই হোমগুলিতে পাবেন, সেগুলো বাড়িতেও পাওয়া সম্ভব। কী ভাবে জেনে নিন।
১। স্বাস্থ্যকর খাবার, ফলমূল, শাকসব্জি নিয়মিত খাওয়া
২। ঈষদোষ্ণু গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া
৩। অসুস্থতা অনুযায়ী ভিটামিন সি, ভিটমিন ডি, ভিটামিন ই এবং জিঙ্কের ওষুধ খাওয়া
৪। সকাল ১০ থেকে ১২টার মধ্যে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রোদে বসা
৫। ডিম খেলে দিনে একবার
৬। অন্তত ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম বা ঘুম
৭। প্রতি দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া
৮। গরম খাবার খাওয়া
তবে নিভৃতবাসে থেকে কোভিডের চিকিৎসা করালেও কয়েকটা জরুরি জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন।
১। অসুস্থবোধ করলেই নিজেকে বাড়ির বাকি সদস্যদের থেকে সরিয়ে নিন
২। চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিন
৩। জ্বর আছে কিনা সর্বদা সজাগ থাকুন। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় দেহের তাপমাত্রা মাপুন। জ্বর হলে আরও ঘন ঘন
৪। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় পাল্স অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা মাপুন। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে আরও ঘন ঘন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কোন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে
শরীর নিয়ে সচেতনা বাড়ান। ভাল করে খেয়াল করুন জ্বর আসছে কিনা। যদি জ্বর আসে ঘন ঘন তাপমাত্রা মেপে দেখুন। ৩ দিনের বেশি যদি ১০১এর উপর জ্বর থাকে, তাহলে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কতটা অসুবিধা হচ্ছে, তা নিয়েও সজাগ থাকুন। অক্সিজেনের মাত্রা মাপুন ঘন ঘন। ৯৪এর নীচে হলে অবশ্যই ইমার্জেন্সি কেয়ারের সাহায্য নিন।
আরও কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন মনে হচ্ছে কিনা। সারাক্ষণ ঘুম পাচ্ছে, আর জেগে থাকতে পারছে না একেবারেই। ঠোঁট বা মুখ নীলচে হয়ে আসছে কিনা। এগুলো সবই জানান দিচ্ছে যে আপনার পরিস্থিতি সঙ্কটময়। অবিলম্বে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।