ফোন কল- অ্যাপল এবং অ্যান্ড্রয়েড দুটোর অপারেটিং সিস্টেমই থার্ড পার্টি অ্যাপস ট্রুকলার সার্পোট করে। ট্রুকলার এক ধরনের ফোন ডিরেক্টরি অ্যাপস। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অপরিচিত ফোনের তথ্য সহজেই দেখা যায়। কিন্তু আইফোনের ক্ষেত্রে হয় না। অ্যাপল অপারেটিং সিস্টেম ১০-এ স্প্যাম কলের বিস্তারিত তথ্য দেখালেও অধিকাংশ অপরিচিত কলের তথ্য দেখায় না।
মেসেজ- ট্রুকলারের মতো ট্রুমেসেঞ্জার অ্যাপসেও মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে আইফোনে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অচেনা ফোন নম্বরে তথ্য জানিয়ে দেয় ট্রুকলারের মাধ্যমে।
গুগল ব্যাকআপ- অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভে খুব সহজে ব্যাকআপ হয়ে থাকে। কিন্তু আইওএস-র ক্ষেত্রে ফোটো ব্যাকআপ ঠিকঠাক হয়ে না। কারণ অ্যাপলে গুগল ব্যাকআপ এপিআই না থাকায় এই ধরনের সমস্যা হয়। এ ছাড়া অ্যাপলের নিজস্ব ব্যাকআপ আইক্লাউড অ্যাপসে ৫ জিবি পর্যন্ত জায়গা ফ্রি থাকে যেখানে গুগল ড্রাইভ ফ্রি দেয় ১৫ জিবি। এর পর সাবস্ক্রিপশন করতে হয়।
একের বেশি স্ক্রিন ব্যবহার- শুরু থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একই সঙ্গে মাল্টিপল স্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নোগাট আসার পর একাধিক স্ক্রিন ব্যবহার আরও সুবিধা হয়ে যায়। আইফোনে সেই সুবিধা ততটা মেলে না।
কল রেকর্ড- আইফোনে আলাদা কোনও অ্যাপস না থাকলে কল রেকর্ড করা যায় না। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে কল রেকর্ডে কোনও অসুবিধা নেই।
একাধিক ইউজার অ্যাকাউন্ট- ললিপপ ৫ আসার পর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একাধিক ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। সেই সুবিধা নেই আইফোনে।
ফাইল অ্যাটাচমেন্ট- টেক বিশেষজ্ঞদের দাবি আইফোনের থেকে অ্যান্ড্রয়েডে ফাইল অ্যাটচমেন্ট করা অনেক সুবিধা। বিশেষ করে ইমেল করার ক্ষেত্রে।