হই হই কাণ্ড, রই রই ব্যাপার। এই মধুমাসে বিয়ের ভরা মরসুমে ছাদনাতলা প্রস্তুত করেই রাখুন। পাত্র-পাত্রী বেছে দেওয়ার দায়িত্বটা এ বার থেকে এবিপিওয়েডিংস ডট কম-ই সামলাবে যে!
আনন্দবাজারের বিশ্বস্ততা এ বার ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের দুনিয়ায়। বঙ্গ আঁতেল থেকে এনআরআই, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, গবেষক, নাট্যকার, সরকারি-বেসরকারি চাকুরে— যেমনটা পাত্র বা পাত্রী চান সব মিলবে এখানে। এবং হ্যাঁ, প্রোফাইলে যেমনটা দেখছেন, যতটুকু তথ্য পাচ্ছেন বাস্তবের ব্যক্তিটিও কিন্তু এক্কেবারে তেমনই। গ্যারান্টি দিচ্ছে এবিপিওয়েডিংস ডট কম। কারণ এখানে প্রোফাইল খুলতে গেলে দরকার আসল পরিচয় পত্র। কিন্তু বাজার চলতি অন্যান্য ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলোর থেকে ঠিক কোথায় কোথায় আলাদা এই সাইট? পার্থক্যটা আসলে ছাঁকনিতে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট বা কর্মক্ষেত্রের পরিচয়পত্রের মধ্যে যে কোনও একটির মাধ্যমে খোলা যাবে প্রোফাইল। নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে যত বেশি প্রমাণ দেওয়া যাবে প্রোফাইল র্যাঙ্কিংও ততটাই বেশি হবে। তবে এই সব তথ্য-প্রমাণ কিন্তু যথেষ্ট গোপনীয়তার সঙ্গেই নিজেদের কাছে রাখবে কর্তৃপক্ষ। টেক-স্যাভি নয়া জেনারেশন এই সাইটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতেও মনপসন্দ পাত্র বা পাত্রীটির সঙ্গে যোগাযোগটা সেরে রাখতে পারবেন।
পূঃ বঃ রাঃ সঃ অবসরপ্রাপ্ত বাবার সঃচাঃ কুঃ ব্রাঃ পাত্রের জন্য সুন্দরী শিক্ষিতা সঃ/ বঃ পূঃ বঃ পাত্রী চাই। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার কী হেঁয়ালি? একটু খেয়াল করুন তো, সত্যিই কি ভাষাটা খুব অচেনা লাগছে? খবরের কাগজে পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের ভাষা তো এটাই! ভেঙে বললে দাঁড়ায় পূর্ব বঙ্গীয় অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সরকারি কর্মচারী বাবার সরকারি চাকরিরত পুত্রের পূর্ব বঙ্গীয় শিক্ষিতা-সুন্দরী পাত্রী চাই। জেন ওয়াই বাঙালি কিন্তু এ সবে বিশেষ উৎসাহী নয়। জমানা বদল গ্যায়া! ঘটকের কাজটা এখন খবরের কাগজের পাতা ছাড়িয়ে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটগুলির জিম্মায়। এখন আর বাবা-মার বেছে দেওয়া বর-কনের গলায় চুপচাপ মালা পরাতে কেউই ততটা উৎসাহী নন। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এখন আর শুধু অ্যারেঞ্জ নয়! অ্যারেঞ্জ প্লাস লভ কনসেপ্ট চালু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে পাত্র-পাত্রীরা নিজেরাই এখন দেখেশুনে নির্বাচন করেন তাদের জীবনসঙ্গী। আগে সঙ্গে ডেট-এ যান। তার পর সিদ্ধান্ত নেন।
পড়ুন
ভুয়ো পরিচয়, মিথ্যা যোগ্যতা দিয়ে বিজ্ঞাপনে ভরে উঠছে ম্যাট্র্রিমনিয়াল সাইটগুলি
কিন্তু বাজারচলতি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলিতে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়ে যায় । ছাঁকনির যথাযথ অভাবে ফেক প্রোফাইলের ছড়াছড়ি। ভুয়ো নাম-বয়স, যোগ্যতা দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক ঠকানোটা সেখানে নতুন কিছু নয়। সারা দেশ জুড়েই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে প্রতারণার বিষয়টি এতটাই প্রবল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চলতি বছরের নভেম্বরে প্রতারণা আটকাতে কেন্দ্র সরকার নয়া প্যানেল তৈরি করেছে। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটগুলির জন্য নয়া গাইডলাইন দিয়েছে ওই প্যানেল।
এবিপিওয়েডিংস ডট কম ইউজারদের প্রতি দায়বদ্ধ। প্রতারণা ঠেকাতে ইউসারদের জন্য সব রকম সুরক্ষা ব্যবস্থাই রয়েছে এর অন্দরে।
তবে আর কী? চলতি হাওয়ার পন্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত আপনার। বন্ধনহীন গ্রন্থির পথটা বেঁধে দেবে এবিপিওয়েডিংস ডট কম।