পছন্দের খাবার খেয়েও ওজন ঝরানো যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ছিল ২১৩ কেজি। বছরখানেকের মধ্যে ৫৬ কেজি ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হলেন যুবক। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি ক্রিস টেরেলের ওজন ঝরানোর কাহিনি অনুপ্রাণিত করেছে অনেককেই। ডায়েট, শরীরচর্চা, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো— রোগা হতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। এত কিছু করেও রোগা হতে পারেন না অনেকেই। ওজন কমানোর জন্য প্রায় উপোস করেও থাকেন। অথচ পছন্দের খাবার খেয়েই ওজন ঝরিয়েছেন টেরেল। অনেকের কাছেই বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি ক্রিস টেরেলের ওজন ঝরানোর কাহিনি অনুপ্রাণিত করেছে অনেককেই। ছবি: সংগৃহীত।
১৫ বছর বয়স থেকেই স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন টেরেল। তিনি এমনিতে খাদ্যরসিক। ছোটবেলা থেকেই খাবারের প্রতি তাঁর আলাদা প্রেম। বাড়ির খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার বেশি পছন্দ করতেন তিনি। দিনের অধিকাংশ সময় বাইরের খাবারই খেতেন। প্রথম দিকে ওজন বাড়তে শুরু করলে বিষয়টিকে অত পাত্তা দেননি। কিন্তু জীবনে প্রেম আসার পর টনক নড়ে। বেশি ওজন অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। প্রেমিকার পরামর্শ মেনেই ওজন কমানোর কথা ভাবেন টেরেল।
খেতে অসম্ভব ভালবাসেন তিনি। রোগা হতে গিয়ে খাবার ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেই পারেন না তিনি। তিনি ঠিক করেন, সব কিছু খেয়েই রোগা হবেন তিনি। সেই মতো পরিশ্রম শুরু করেন। জোর দেন শারীরিক কসরতে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ঘেঁটে এবং পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন যে, সব খাবার খেয়েও রোগা হওয়া যায় যদি শরীরচর্চায় কোনও ঘাটতি না থাকে। প্রায় এক বছর সকাল-বিকেল অনেকটা সময় ধরে শরীরচর্চা করা শুরু করেন। তবে জিমে গিয়ে নয়। সাঁতার কেটে। রোজ নিয়ম করে সাঁতার কেটেই ৫৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন টেরেল। তা জানার পর অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। সাঁতার কাটার উপকারিতা কম নয়। নিয়ম করে সাঁতার কাটলে ওজন বশে রাখা সম্ভব। তবে সাঁতার কেটে এতটা ওজন কমানো মুখের কথা নয়। অসম্ভব হলেও তা সম্ভব করেছেন টেরেল।