দুবাইয়ের অন্যতম ধনী গৃহবধূ সৌদি। ছবিঃ সংগৃহীত।
বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। বিলাসিতার সংজ্ঞাও আবার সকলের কাছে এক নয়। অনেকেই আছেন বছরে দু’বার বিদেশে যান, নামীদামি সংস্থার পোশাক এবং প্রসাধনী ব্যবহার করেন। দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় প্রয়োজনেই থাকে বিলাসিতার ছোঁয়া। তাই বলে প্রতি দিন ৭০ লক্ষ টাকার কেনাকাটা, প্রতি মাসে বিদেশ-বিভুঁইয়ে ঢুঁ মারা, এক গাড়ি এক মাসের বেশি ব্যবহার না করা— বিলাসব্যসনের এমন ছবি অনেকের কাছেই রূপকথার গল্পের মতো। দুবাইয়ের বাসিন্দা সৌদি এবং তাঁর স্বামী জামাল অবশ্য এমন জীবনযাপনেই অভ্যস্ত।
সৌদি এমনিতে গৃহবধূ। তবে বেড়ানো এবং শপিং করা তাঁর অন্যতম প্রিয় কাজ। বিশেষ করে কেনাকাটা করতে পারলে আর কিছু চাই না। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কম যান না জামালও। প্রায় প্রতি দিনই দু’জনে মিলে বেরিয়ে পড়েন কেনাকাটা করতে। ৬০-৭০ লক্ষ টাকা খরচ করে গোটা শপিংমল তুলে নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও নামী পোশাকশিল্পীদের তৈরি করা পোশাকই পরেন তাঁরা। সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে, এমন সব বিদেশি সংস্থার জিনিসপত্র ব্যবহার করেন তাঁরা।
সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় সৌদি। অনুরাগীর সংখ্যা লক্ষের কোঠা পেরিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে মাঝেমাঝেই নিজেদের ছুটি কাটানোর ছবি ভাগ করে নেন তিনি। প্রতি বার বেড়াতে যাওয়ার আগে পোশাক থেকে ব্যাগ— সব নতুন করে কেনেন। সেগুলির এক একটির দাম ১৪-১৫ লক্ষ টাকা।
সৌদি এবং জামাল দু’জনের পছন্দের জায়গা হল মলদ্বীপ। চার বছর বিয়ে হয়েছে দু’জনের। বিয়ের পর থেকে এত বার সেখানে গিয়েছেন তাঁরা, যে মলদ্বীপের রাস্তাঘাট হাতের তালুর মতো চিনে গিয়েছেন। মাঝেমাঝে একঘেয়েমি কাটাতে কয়েক মাস অন্তর ঘুরে আসেন লন্ডন থেকে। তাঁদের পরবর্তী পরিকল্পনা জাপান।
বছরের অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে থাকেন। তাই যখনই নিজের বাড়িতে থাকেন, রূপচর্চায় মন দেন সৌদি। এক বিশেষ ধরনের ম্যানিকিয়োর করেন। খরচ পড়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। রান্না করতে একেবারেই পছন্দ করেন না। অগত্যা রেস্তরাঁই ভরসা। প্রতি দিন খাবারদাবারের পিছনেও খরচ হয় কয়েক হাজার টাকা। জামাল পেশায় ব্যবসায়ী। মূলত সৌদি আরব তাঁর ব্যবসার জায়গা। জীবনের কোনও সাধই অপূর্ণ রাখতে চান না তাঁরা। অন্য রকম ভাবে জীবনের উদ্যাপন চান বলেই পরিশ্রমে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না। প্রায়শই সমাজমাধ্যমে সে কথা প্রকাশ করেন সৌদি।