নাক ঝাড়তে গিয়েই পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণ। ছবি- সংগৃহীত
নাক ঝাড়তে যাওয়াই কাল হল। নাসারন্ধ্রে জমা সর্দি পরিষ্কার করতে সজোরে নাক ঝে়ড়েছিলেন এক ব্যক্তি। তার পরই সব অন্ধকার। জ্ঞান হারিয়ে সটান মাটিতে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ক্রিস্টি ব্রনার সেই রাতের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছিলেন।
কী হয়েছিল সে দিন? ক্রিস্টি বলেন, “বাড়িতেই নতুন বছর উদ্যাপন করতে পরিবারের সকলে একত্র হয়েছিলাম। সেই সময়ে আমার স্বামী শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে হঠাৎ সজোরে কিছু একটা পড়ার শব্দ পেয়ে আমি তড়িঘড়ি ছুটে যাই। দেখি, আমার স্বামী মাটিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।”
প্রাথমিক চিকিৎসার পর জানা যায়, সজোরে নাক ঝাড়তে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাওয়ার সময়ে ঘাড়ে চোট লাগায় মেরুদণ্ডের ছোট ছোট ডিস্কগুলি সরে যায়। যার জেরেই পুরো স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ব্যাহত হয়। অস্ত্রোপচার সফল হলেও দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় ক্রিস্টির স্বামীকে। ক্রিস্টি বলেন, “নাক ঝাড়া বা হাঁচি থেকে যে এমনটা হতে পারে আমরা কোনও দিন কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের চার সন্তানও রয়েছে। একা হাতে এত কিছু সামাল দেওয়া কঠিন ছিল। স্বামীকে দীর্ঘ দিন প্যারালাইজ়্ড অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিলাম। তবে এই ঘটনা আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছে, তা আমি কোনও দিন ভুলব না। সকলকে সাবধান করব, স্নায়ুতে আঘাত লাগে এমন কোনও কাজ করবেন না।”