ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের সজ্জা ফ্যাশন শো-এ। ছবি: সংগৃহীত
সুর আর ফ্যাশনের যুগলবন্দিতে এক টুকরো মনোরম সন্ধ্যা উঠে এল ম্যাঞ্চেস্টারের বুকে। নেপথ্যে মিতালি দেব এবং নিলয় সেনগুপ্ত। ‘নৃত্যকুঞ্জ’-এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মিতালি দেব দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে পরিকল্পনা করেছেন এই অনুষ্ঠানের। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার নিলয় সেনগুপ্ত।
শো-এর মূল বিষয় ছিল ভারতীয় তথা বাঙালি পোশাকের বিবর্তন-যাত্রা। উনিশ শতকের শুরু থেকে কী ভাবে ভারতীয় তথা বাঙালি পোশাক পরিবর্তনের পথে হেঁটে পা ফেলেছিল ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে, সেই যাত্রাপথ-ই তুলে ধরা হয়েছিল সেই সুন্দর সন্ধ্যায়। বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে মুঘল প্রভাব ও মসলিনের স্পর্শ।
ঠাকুরবাড়ির পোশাক সবসময়েই ছিল সময়ের থেকে এগিয়ে। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর হাত ধরে খোলা হাওয়া প্রবেশ করেছিল অন্দরমহলে। সেই ধারায় পা মিলিয়েছিলেন মৃণালিনী দেবীও।
দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
রবীন্দ্রনাথের নায়িকাদের সাজসজ্জাতেও বারবার ধরা পড়ে ঠাকুর পরিবারের পরিচিত ঘরানা। সবকিছুর কোলাজ উঠে এসেছে ওই ফ্যাশন শো-এ।
আরও পড়ুন: শীত সামলে
বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নেওয়া হয়েছিল ফ্যাশন শো-এর ঠিকানাও। উনিশ শতকের গির্জার গথিক পটভূমিতে জমে উঠেছিল এই ইন্দো ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে ছিল শুধুই ঠাকুরবাড়ির পোশাক। দ্বিতীয় অর্ধে তুলে ধরা হয় পোশাকে ইন্দো ওয়েস্টার্ন ফিউশন।
আরও পড়ুন: থেরাপির বাগান
উনিশ শতকের গির্জার গথিক পটভূমিতে জমে উঠেছিল এই ইন্দো ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন শো। ছবি:সংগৃহীত
শো-এর লাল কার্পেটে যাঁরা হাঁটলেন। তাঁরা কেউ পেশাদার মডেল নন। কিন্তু তাঁদের প্রতি পদক্ষেপে আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব ছিল না। শো-এর সেরা চমক মিস ইংল্যান্ড ২০১৯ ভাষা মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং দেবলীনা কুমার।