এখনও বাঙালির পুজো শপিংয়ের সেরা ঠিকানা নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান।
পুজো এ বার অনেকটাই আগে। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখেই মহালয়া। ৩০ তারিখের মধ্যে পুজো শেষ। তাই শপিং করার সময় আর একেবারে নেই বললেই চলে। মাত্র দেড় মাস। তার মধ্যেই কিনে ফেলতে হবে লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক, অ্যাক্সেসরিজ, জুতো।
অনেকে এখন সময়ের অভাবে অনলাইনেই শপিং সেরে ফেলেন। তবে সারা বছর অনলাইনে টুকটাক শপিং করলেও পুজোর সময় ঘুরে ঘুরে, নিজে হাতে ধরে, দরদাম করে ট্রায়াল দিয়ে না কিনলে যেন কী একটা বাকি থেকে গেল মনে হয়। আসলে শপিংটাও যে পুজোর আনন্দেরই একটা অংশ। মার্কেট হপিং দিয়ে শুরু হয়ে প্যান্ডেল হপিং দিয়ে শেষ। সঙ্গে চাই খাওয়া-দাওয়া। এই গোটাটা মিলেই যেন দুর্গাপুজো।
হাল ফ্যাশনের জামা-জুতোর সম্ভার নিয়ে শহরের শপিং মলগুলো হাতছানি দিলেও তার অধিকাংশই এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এ দিকে পুজোর সময় সকলেই চান নিজের মতো করে ফ্যাশনিস্তা হয়ে উঠতে। তাই এখনও বাঙালির পুজো শপিংয়ের সেরা ঠিকানা নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান। ধর্মতলা চত্বরে যদি চলে আসতে পারেন তা হলে এক সঙ্গে ঢুঁ মেরে নিতে পারেন নিউ মার্কেট, ট্রেজার আইল্যান্ড, শ্রীরাম আর্কেডে। মোটামুটি ধর্মতলার ফুটপাথ ধরে হাঁটলেই মিটে যায় অনেক প্রয়োজন। একটু হেঁটে জাদুঘরের দিকে গিয়ে সাদার স্ট্রিটের ফুটপাত ধরেও হেঁটে আসতে পারেন। ব্র্যান্ডের চিন্তা না করেই এখানে পেয়ে যাবেন দারুণ সব পকেট ফ্রেন্ডলি ট্রেন্ডি অ্যাকসেসরিজ।
দক্ষিণ কলকাতার দিকে ঢুঁ মেরে আসুন এক দিন। গড়িয়াহাটের ফুটপাথ ধরে না হাঁটলে পুজোর শপিং সম্পূর্ণ হয় না। আর দক্ষিণাপণ তো রয়েছেই। হ্যান্ডলুমপ্রেমীদের কাছে শহরের সেরা শপিং ডেস্টিনেশন। পুজোর সময় তো জামা-জুতো নয়, ঘরও নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চান অনেকে। পছন্দসই বেডকভার, কুশন কভার, পর্দা, ঘর সাজানোর নানা রকম রুচিশীল জিনিস পাওয়া যায় দক্ষিণাপণের স্টেট এম্পোরিয়ামগুলোতে। পুজো যেমন নিজের আলমারি ভরিয়ে তোলার সময়, তেমনই অন্যকে উপহার দিয়ে খুশি করারও সময়। বাজেটের মধ্যে থেকেই রুচিশীল উপহারও কিনে নিতে পারবেন এখান থেকে।
টিনএজার বা সদ্য কলেজ গোয়ারদের জন্য সবচেয়ে ভাল ক্যামাক স্ট্রিট, এলগিন রোড। এখানকার বি কে মার্কেট, মেট্রো প্লাজা, বর্দান মার্কেট গেলেই মোটামুটি শপিং সেরে ফেলা যাবে। পকেট মানি বাঁচিয়েই এখান থেকে কিনে ফেলতে পারেন লেটেস্ট ফ্যাশনের ড্রেস, স্কার্ট, ম্যাক্সি ড্রেস, টপ। তা ছাড়া জুতো, ব্যাগ, অ্যাক্সেসরিজ, জাঙ্ক জুয়েলারি, সানগ্লাস তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এই ফ্যাব্রিকগুলো কম ব্যবহার করাই ভাল
সব শেষে আসি উত্তর কলকাতার কথায়। হাতিবাগান আর বড়বাজারের পু়জোর ভিড় নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। সস্তায় ভাল মানের কাজের টেঁকসই জিনিস চাইলে চোখ বন্ধ করে চলে যান এই জায়গাগুলোয়। পোশাক, জুতো, অ্যাক্সেসরিজ, ঘরের জিনিস কোনওটাই হতাশ করবে না আপনাকে।