শরীরে জমা টক্সিন সরাতে কত কারসাজিই না করেন। কিন্তু, এক বার ডিটক্সের পর যেন ভাববেন না তার সুফল দীর্ঘস্থায়ী হবে। ডিটক্সের সুফল ধরে রাখতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
১) প্রতিদিন একই সময় লাঞ্চ-ডিনার সারুন। পাশাপাশি মনে রাখবেন, রাত ১০টার পর ডিনার নৈব নৈব চ। বডি ক্লকের ঠিকঠাক কাজ করার জন্য রোজ একই সময় খাবার খান।
২) প্রচুর পরিমাণ জল পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও হবে না। সারা দিনে অন্তত দেড় তেকে দু’লিটার জলপান করুন।
৩) ডিনারে কার্বোহাইড্রে়ড এড়িয়ে চলুন। দেহে এনার্জির যোগান দেয় কার্বোহাইড্রে়ড। যেহেতু ঘুমের আগে বেশি এনার্জির প্রয়োজন নেই, সেহেতু ডিনারে কার্বোহাইড্রে়ড জাতীয় খাবার যেমন, আলু, ভাত বা পাস্তা খাবেন না।
৪) লাঞ্চ-ডিনারের সঙ্গে ফল খাবেন না। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এক-আধটা ফল চলতে পারে। কিন্তু, লাঞ্চ বা ডিনারের সঙ্গে ফল খেলে তা দেহে সুগারের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ক্যালারির কাউন্টও বেড়ে যায়। তা ছাড়া, ফল খেলে অনেকের অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা থাকে।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোন। দিনে অন্তত সাড়ে ছ’ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোন। বেশি ঘুমোনোও যেমন ক্ষতিকর, কম ঘুমোলেও সমান অসুবিধা হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ফলে দেহে মেটাবলিজম ঠিক থাকে। বেশি খিদেও পায় না।
৬) সঠিক তেলে রান্না করুন। অনেকেই ওজন কমাতে অলিভ অয়েলকেই সেরা মনে করে। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, সর্ষে বা নারকেল তেলও কিন্তু কম গুণের নয়। তবে পাম অয়েল এড়িয়ে চলুন। এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়িয়ে দেয়।
৭) প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ ঘি খান। শুনলে অবাক হবেন, রোজকার খাবারের সঙ্গে একটু ঘি খেলে ওজন কমে।