পিঠ এবং ঘাড়ে ব্যথা: অফিস সিনড্রোমের উপসর্গগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে পিঠ এবং ঘাড়ে ব্যথা হওয়া। আপনার বসার ধরন, আপনার চেয়ার, টেবিল এবং কি-বোর্ড এ গুলো দীর্ঘমেয়াদে পুরো শরীরের উপরই প্রভাব ফেলে।
চর্বি জমা: যদি নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই আপনার ওজন বাড়তে শুরু করে বা শরীরে চর্বি জমে তাহলে আপনি অফিস সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন বলা যায়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে স্থূলতার সমস্যা তৈরি হয়।
অর্শরোগ: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে নির্দিষ্ট অঙ্গে সমস্যা দেখা যায়। এমনকী হেমোরয়েডস বা অর্শরোগও সৃষ্টি হতে পারে।
ড্রাই আই সিনড্রোম: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা এবং মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে ড্রাই আই সিনড্রোম দেখা দিতে পারে।
সংক্রমণ: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশিক্ষণ বসে কাজ করলে সংক্রমণজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেউ কেউ অফিস সিনড্রোমের কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যায়ও ভুগে থাকেন।
হাত ব্যথা: কি-বোর্ডে লেখার সময় বারবার আঙুলগুলো ব্যবহৃত হয়। এর ফলে কবজি, কনুই এবং কাঁধেও সমস্যা দেখা দেয়।
হার্টের সমস্যা: অনেক বেশি সময় বসে থাকা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। তাই কাজের মাঝে খানিক বিরতি নিয়ে উঠে পড়ুন। স্ট্রেচিং করুন বা হাঁটুন। নিজেকে ফিট রাখুন যাতে অফিস সিনড্রোম আপনাকে আক্রান্ত করতে না পারে।