মুখ ঢাকা কোনও পোশাকই ফ্রান্সের রাস্তায় পরা যাবে না। ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে ভ্রমণ করার শখ রয়েছে? সময় পেলেই সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন বিদেশ বিভুঁইয়ে? সেটা না হলেও জেনে রাখা দরকার যে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পোশাক নিয়ে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। ভ্রমণপিপাসু হলে বিশ্বের কোন প্রান্তে কোন ধরনের পোশাক পরা বারণ তা না জানলেই নয়। জরিমানা দিতে না চাইলে জেনে নিন কোন দেশে কোন ধরনের পোশাক পরা মানা।
১) চটিতে না: মহিলা হোক বা পুরুষ চটি না থাকলে ভারতীয়দের জুতোর সংগ্রহ সম্পূর্ণ হয় না। বিয়েবাড়ি হোক বা বাজার, চটি পরতেই বেশি অভ্যস্ত আমরা। অথচ স্পেনে চটি পরার উপর বিশেষ বিধিনিষেধ আছে। চটি পরে গাড়ি চালালে দিতে হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা।
২) বিকিনি পরায় নিয়মবিধি: অনেক দেশ এমনও রয়েছে যেখানে বিকিনি পরা নিয়ে মেনে চলতে হয় কড়া নিয়ম। স্পেনের বার্সেলোনা এবং ম্যালোর্কাতে শুধুমাত্র সমুদ্রসৈকত এবং সেই সংলগ্ন রাস্তাতেই বিকিনি পরার অনুমতি রয়েছে। অন্যত্র কোথাও বিকিনি পরলে হতে পারে শাস্তি। ক্রোয়েশিয়ার হাভারেও একই নিয়ম জারি আছে। ইদানীং ভারতীয় দম্পতিদের কাছে পছন্দের গন্তব্য মলদ্বীপ। সেখানেও কিন্তু শুধুমাত্র প্রাইভেট রিসর্টের নিজস্ব বিচ এবং কয়েকটি হাতে গোনা সৈকতে গেলেই বিকিনি পরার অনুমতি মেলে।
৩) হিল জুতোয় মানা: গ্রিসের ঐতিহাসিক স্থানগুলি যেমন অ্যাক্রোপলিস বা ডেলফিতে মহিলাদের হাই হিল পরার অনুমতি নেই। সেখানকার প্রাচীন নিদর্শনগুলির ক্ষতি রোধ করার জন্যই নাকি এই নিয়ম জারি করা হয়েছে।
৪) ট্রাউজার পরায় আপত্তি: উত্তর কোরিয়ায় মহিলাদের ট্রাউজার পরার অনুমতি নেই। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তি পেতে হয় মহিলাদের। নীল জিন্স পরলেও দিতে হয় জরিমানা। স্কার্টের দৈর্ঘ্য কত হবে সেই নিয়েও নিয়ম জারি আছে সেখানে। হাঁটুর উপরে স্কার্ট পরা যায় না সেখানে।
৫) বোরখা নিষিদ্ধ: মুখ ঢাকা কোনও পোশাকই ফ্রান্সের রাস্তায় পরা যাবে না। তাই সেখানে মহিলাদের নিকাব বা বোরখা পরা নিষিদ্ধ। খ্রিস্টান মহিলারা বিয়ের সময় যে ভেল পরেন তাও সেখানে নিষিদ্ধ। ফ্রান্সের প্রকাশ্য রাস্তায় মুখ ঢাকা দেওয়া মানা।
৬) পুরুষদের মহিলাদের পোশাকে না: হালফ্যাশনে অনেক ছেলেকেই শাড়ি পরতে দেখা যায় ভারতে। তবে সৌদি আরবে কিন্তু এমনটা করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। কোনও পুরুষ যদি রাস্তায় মহিলাদের মতো আচরণ করে তাহলেও কিন্তু কড়া শাস্তি পেতে হয়।