পুজো আসছে। প্রতি বছরই পুজোয় নতুন নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড করলেও শাড়ির জনপ্রিয়তা কমে না কখনই। আর পুজোর দিনগুলোয় ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় হ্যান্ডলুম শাড়ির পাশে অন্য সব কিছুই যেন ম্লান দেখায়। এই সময় একটু দাম দিয়ে ভাল সিল্কের শাড়ি অনেকেই কেনেন। খরচ যখন করছেনই, তখন শাড়ির গুণমানের দিকে অবশ্যই নজর দিন। সিল্কের দাম বেশি হওয়ার কারণে বাজারে ভরে থাকে সিল্কের মতো দেখতে সস্তার বিভিন্ন মানের শাড়ি। জেনে নিন কী ভাবে শাড়ি দেখে যাচাই করবেন সিল্ক আসল কি না।
কাঞ্জিভরম: আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। কাঞ্জিভরম শা়ড়ি কেনার সময় দেখে নিন জড়িতে লাল সুতো রয়েছে কিনা। যদি না থাকে তা হলে শাড়ি কাঞ্জিভরম নয়। যদি শাড়ির উল্টো পিঠে জড়ির সুতোর গিঁট দেখতে পান তা হলে বুঝবেন তা আসল সিল্ক।
বেনারসি: হাতে বোনা বেনারসি শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে ভাসা ভাসা সুতো দেখতে পাবেন। এ ছাড়াও একমাত্র আসল বেনারসি শাড়ির আঁচলে ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা সিল্কের প্যাচ থাকবে। ডিজাইনার রিম্পল নরুলা জানাচ্ছেন, শাড়ির মোটিফ দেখেও চিনে নেওয়া যায় আসল বেনারসি শাড়ি। মুঘল প্যাটার্নের আমরু, অম্বি, ডোমক মোটিফ থাকে আসল বেনারসি শাড়িতে।
চান্দেরি: চান্দেরি শাড়ি দেখতে কিছুটা শক্ত হয়। শাড়ির উপর হাত বোলালে যদি বরফে হাঁটার মতো আওয়াজ হয় তা হলে বুঝবেন তা আসল সিল্ক। নরম টেক্সচার, হালকা ওজন ও স্বচ্ছতা অন্যান্য সিল্কের থেকে একটু আলাদা হয়।
লাইট ওয়েট সিল্ক: সিল্ক যত হালকা হবে তা ততই নমনীয় ও সূক্ষ হবে। যদি আংটির মধ্যে দিয়ে সিল্ক পাস করাতে পারেন তা হলে বুঝবেন সিল্ক অকৃত্রিম। যদি আটকে যায়, তা হলে বুঝবেন তা ভারী ফ্যাব্রিক। যে ফ্র্যাব্রিক যত হালকা তা তত ভাল মানের।
লাস্টর টেস্ট: নানা রঙের সুতোর মিশেলে এই সিল্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন দিক থেকে আলো পড়লে এই শাড়ির জমির রঙ দেখতে অন্য রকম লাগে। যদি সিল্ক নকল হয় তা হলে আলোর সঙ্গে শাড়ির রং বদলাবে না। সাদাটে দেখতে লাগবে।
বার্ন টেস্ট: নিজের প্রিয় শাড়িতে এই পরীক্ষা কেউই করতে চান না। তবে গুণমান বিচার করার জন্য এই পরীক্ষা খুবই ভাল। শাড়ির ছোট্ট এক কোণ আগুনের শিখার উপর ধরুন। যদি পোড়া চুলের মতো গন্ধ বেরোয় তা হলে বুঝবেন সিল্ক আসল। যদি পলিয়েস্টার হয় তা হলে প্লাস্টিক বেরিয়ে আসে। জড়ির শাড়ি কিনলে অথেনটিসিটি সার্টিফিকেট দেখতে চাইতে পারেন।