স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। কাঠফাটা রোদে স্কুলে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে বাচ্চারা। এই এক মাস এখন চুটিয়ে উপভোগ করার সময়। উপভোগ করার মাঝেই ছুটির এই সময়টা কিন্তু বাচ্চাদের শেখা ও মানসিক বিকাশের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। ছুটির মাস এমন ভাবে কাজে লাগান যাতে মজা, আনন্দের মাঝেই বাচ্চা শিখে নিতে পারে বেশ কিছু জিনিস। অন্য সময় স্কুলের চাপ, পরীক্ষার জন্য সময় পায় না বাচ্চারা। ছুটির সময়টা তাই ব্যবহার করুন চুটিয়ে।
সৃজনশীলতা
বাচ্চার হাতে এক বাক্স রং তুলে দিন। নিজের মনের মতো করে ডিজাইন করুক কোনও টি-শার্ট বা বুক কভার। অথবা, কোনও কিছু দিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলুক কোনও মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বা কোনও গেম। এতে ওদের কল্পনাশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই উন্নত হবে সৃজনশীলতাও।
অ্যাডভেঞ্চার
ভ্রমণ বিলাস নয়, ওকে নিয়ে যান পাহাড়ে ট্রেকিং বা রিভার ক্যাম্পিং, অথবা জঙ্গল সাফারিতে। পাথর কুড়নো, প্রজাপতি ধরার মতো অ্যাডভে়ঞ্চারে মেতে থাকুন বাচ্চার সঙ্গে। এতে ওর যেমন প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটবে, তেমনই যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, সাহস, উদ্যমও তৈরি হবে।
সকালবেলা
পার্কে গেম খেলা হোক বা সাইকেল চালানো। সকালবেলাটা ওর কাছে উপভোগ্য করে তুলুন। এতে ওর স্বাস্থ্যের যেমন উন্নতি হবে, তেমনই সকালে ওঠার মতো ভাল অভ্যাসও তৈরি হবে। অনেক সময়ই বাচ্চারা এক মাস ছুটি কাটানোর আবার সকালে উঠে স্কুল যেতে গড়িমসি করে। এ ভাবে ওদের সকালে ওঠার অভ্যাসও বজায় থাকবে।
রান্নাঘর
বাচ্চাকে ওর নিজের মতো করে খাবার বানাতে দিন। কোনও কুকবুক কিনে দিন। ওর সঙ্গে রান্না করুন যাতে রান্নাঘরে সময় কাটানো উপভোগ করে। বাজারে সঙ্গে নিয়ে যান। জিনিসপত্র, টাকা পয়সার হিসেব রাখতে শেখান। এতে ওর অঙ্কে মাথা আরও খুলবে।
আরও পড়ুন: শিশুর ডিমে অ্যালার্জি? কাটিয়ে দিন এই ভাবে
পড়ার অভ্যাস
কোনও ছবির বই হোক, কমিকস বা কোনও ম্যাগাজিন। বা কোনও গল্পের বই। বাচ্চাকে সঙ্গে পড়ুন। ওর পড়ার অভ্যাস ও পড়ার মাধ্যমে শেখার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে ওর শব্দভান্ডারও উন্নত হবে।