আপনার কি অফিস যেতে ভাল লাগে? নিজের কাজ? কলিগদের? বেশ কিছু দিন ধরেই ভাবছেন চাকরিটা ছেড়ে দেবেন কিন্তু দোনামোনায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতি আমাদের অনেকেরই। কাজের স্ট্রেস নিয়ে রোজই অভিযোগ করছেন, প্রচুর খেটেও হতাশ লাগছে, সহকর্মীদের উপস্থিতিও ভাল লাগছে না অথচ ঠিক কী করবেন বুঝতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতি কী ভাবে বুঝবেন চাকরি ছাড়বেন কি না? জেনে নিন এমন পাঁচ সঙ্কেত যা থেকে বুঝবেন এ বার আপনি চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে।
১। হতাশা: কাজের সঙ্গে আপানর সংযোগ কতটা, এই কাজ করে আপনি কতটা আনন্দ পাচ্ছেন, প্রতি সপ্তাহের শেষে তা ভেবে দেখুন। যদি দেখেন আপনি নিজের সেরাটা দেওয়া সত্ত্বেও সপ্তাহের শেষে ক্লান্ত, হতাশ লাগছে, পজিটিভিটির অভাব বোধ করছেন তা হলে অবশ্যই আপনার এই চাকরিটা ছাড়ার সময় এসেছে।
২। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা: সহকর্মীদের সঙ্গে মূলত কী হয় আলোচনা হয় আপনার? সব সময় কি সংস্থার খারাপ দিকগুলোই আলোচনায় উঠে আসে? বেশির ভাগ সহকর্মীরা কি আপনার মতোই অখুশি? অনেকেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা অন্য চাকরি খুঁজছেন? তা হলে বুঝতে হবে আপনি এবং বাকিরা শুধুই রোজগারের তাগিদে এই চাকরিটা করছেন।
৩। মূল্যায়ন: এই সংস্থায় কি আপনার কাজের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে? নাকি প্রচুর খাটনি সত্ত্বেও মনে হচ্ছে আপনার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না? মোটিভেশনও পাচ্ছেন না। তাহলে অবশ্যই চাকরি ছাড়ার কথা ভাবুন।
৪। বসদের প্রতি সম্মান: যাঁরা আপনার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের প্রতি যদি সম্মান হারিয়ে ফেলেন, তাঁদের কাজ, নেতৃত্ব দেওয়ার ধরণ, ভবিষ্যতের স্ট্রাটেজির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারেন তাহলে হতাশা আসবেই। এি অবস্থায় চাকরি ছেড়ে দেওয়াই ভাল। না হলে হতাশা আরও চেপে বসবে।
৫। ছুটি: আপনি কি সারা সপ্তাহ উইকএন্ডের অপেক্ষায় বসে থাকেন? ছুটির দিনগুলোয় স্বস্তির শ্বাস নেন, নিজের ব্যক্তিগত কাজ উপভোগ করেন। ব্যক্তিগত কাজের এমন ভাবে পরিকল্পনা করেন যাতে সময়ের আগে অফিসে থেকে বেরোতে পারেন? ছুটিতে যাওয়ার ছুতো খুঁজতে থাকেন? বুঝতেই পারছেন। আপনার চাকরি ছাড়ার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: যে ১০ পেশার পুরুষদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন মহিলারা