সমাজ কী ভাবে আমাকে দেখতে চায়, আর আমি নিজে কী ভাবে চাই। এই দ্বন্দ্ব অামাদের সকলের মধ্যেই চলতে থাকে।<br> খুব কম মানুষই রয়েছেন যারা নিজের উপর ভরসা রেখে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জীবনটা কাটাতে পারেন। আর বেশিরভাগ মানুষই সমাজের কাছে নতিস্বীকার করেন।<br> মৃত্যুশয্যায় সেই আক্ষেপ তাদের থেকে যায়।
আমরা অনেকেই মনে করি জীবনটা ভাল ভাবে কাটানোর জন্য অর্থই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।<br> তাই অর্থের পিছনে ছুটে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে জীবনটা কেটে যায়।<br> মৃত্যুশয্যায় তাদের আক্ষেপ থাকে যদি এত বেশি পরিশ্রম না করে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাতেন।
অন্যদের খুশি রাখতে বা পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে অনেকেই অধিকাংশ সময় নিজের মনের কথা চেপে রাখেন।<br> ফলে নিজের ভিতরেই গুমরে থাকার অনুভূতি নিয়ে বাঁচেন গোটা জীবন। শেষ শয্যায় শুয়ে নিজের মনের কথা প্রকাশ না করার অনুতাপেও ভুগতে থাকেন।
জীবনের ব্যস্ততা, কাজের মাঝে অনেক সময়ই আমরা বন্ধুদের সঙ্গে হারিয়ে ফেলি।<br> কিন্তু ভাল থাকার জন্য খুশি থাকার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে কতটা প্রয়োজন অনেকেই তা মৃত্যুশয্যায় শুয়ে অনুভব করেন। যদি বন্ধুদের সঙ্গে সারা জীবন পেতাম। এই অনুতাপ করেন অনেকে।
মৃতুশয্যায় পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে ভাল থাকা, খুশি থাকা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিজের উপর।<br> নিজেদের পুরনো ধ্যান ধারণা, অভিযোগ নিয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার পর মৃত্যুশয্যায় নুতাপ করেন যদি নিজেকে আরও খুশি রাখতে পারতাম।