ভারতের সব প্রান্তের, সব ধর্মের মানুষ তাঁকে শিল্পী হিসাবে এই উচ্চতায় তুলেছে। তাই ভারতবাসী হিসাবে তিনি গর্বিত —মন্তব্য করলেন উস্তাদ আমজাদ আলি খান। চলতে থাকা ‘অসহিষ্ণুতা’ বিতর্কে না ঢুকে তিনি বলেন, ‘‘আজকের শিক্ষা ছাত্রদের কেবল ডিগ্রি বাড়াচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সহিষ্ণুতার বীজ বপণ করছে না।’’
আমজাদ আলি ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ইসরো) চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী এ এস কিরণ কুমারকে সাম্মানিক ডক্টরেট দিল অসমের কাজিরাঙা বিশ্ববিদ্যালয়। গত কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমার্বতন অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে সম্মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই এ কথা বলেন আমজাদ। অসমের নৃত্যশিল্পী শুভলক্ষ্মী আমজাদ আলি খানের স্ত্রী। নিজেকে ‘রাজ্যের জামাই’ বলে বক্তব্য শুরু করে উস্তাদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সরোদ শেখাতে ইচ্ছুক তিনি। বলেন, ‘‘আমি নিজেকে শিক্ষক বলেই মনে করি। জামাই হিসাবে অসম আমার উপরে দায়িত্ব দিতেই পারে।’’ পদ্মবিভূষণ পাওয়া সরোদ শিল্পীর আক্ষেপ, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের উচ্চশিক্ষিত করলেও তাঁদের সহিষ্ণু, ক্ষমাশীল, অহিংস হতে শেখাচ্ছে না। চারপাশে মানুষ ধর্মের জন্য, সম্পত্তির কারণে নাগাড়ে একে-অন্যকে হত্যা করছে।’’