দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর নামে এফআইআর হয়েছে থানায়। পদ ছাড়ার নির্দেশ এসেছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে। তবু মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল রামনরেশ যাদব আছেন নিজের মতোই।
২৫ ফেব্রুয়ারি শোনা গিয়েছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই খবর আদৌ সত্যি নয়। এখনও দিব্যি পদ আঁকড়ে আছেন রামনরেশ। ওই ঘটনার পর পরই দিল্লি চলে যান তিনি। উপলক্ষ ছিল লালু প্রসাদের মেয়ের সঙ্গে মুলায়ম সিংহ যাদবের নাতির বিয়ে। বিয়েবাড়ি যাওয়ার বাইরে অবশ্য এই ক’দিন রাজধানীর মধ্যপ্রদেশ ভবন ছেড়ে মোটেই বেরোননি তিনি। এমনকী, ফিরিয়ে দিয়েছেন দর্শনার্থীদেরও। যদিও অনেকের দাবি, রাজ্যপালের দিল্লি সফরের আসল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা। রাষ্ট্রপতি তাঁর আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় শেষমেশ আজই ভোপাল ফিরে এসেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ক’দিন আগে হাইকোর্ট তাদের জানায়, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ পদাধিকারীর বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাতে পারেন অফিসারেরা। এর পরেই রাজ্যপালের নামে থানার এফআইআর দায়ের করে এসটিএফ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২ সালে বনরক্ষী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাঁচ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষকে। প্রায় একই রকম জালিয়াতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যপালের ছেলেরও। জেরায় এক পরীক্ষার্থী জানান, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য রাজ্যপালের ছেলেকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার। বিরোধীরা পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন প্রতি দিন। কিন্তু আপাতত সে রকম কিছু ভাবনা মনেও আনছেন না রামনরেশ যাদব। অন্তত রাজভবন সূত্রে ইঙ্গিত সে রকমই। রাষ্ট্রপতি দোলের পর তাঁকে সময় দিতে পারেন, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল বরং আশাবাদী তা নিয়েই।