স্বাস্থ্য-শিক্ষার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যও জমি অধিগ্রহণ

বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্যও সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে এ বার থেকে। সংশোধিত আইনের ধারা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ এ কথা জানান। বিগত ইউপিএ জমানায় পাশ হওয়া জমি আইন সংশোধনের অর্ডিন্যান্সে গত সোমবার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরের পর সেই অধ্যাদেশ জারিও হয়ে গিয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণের সুযোগ ছিল না ইউপিএ জমানার জমি আইনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৭
Share:

বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্যও সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে এ বার থেকে। সংশোধিত আইনের ধারা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ এ কথা জানান।

Advertisement

বিগত ইউপিএ জমানায় পাশ হওয়া জমি আইন সংশোধনের অর্ডিন্যান্সে গত সোমবার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরের পর সেই অধ্যাদেশ জারিও হয়ে গিয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণের সুযোগ ছিল না ইউপিএ জমানার জমি আইনে। সেই রাস্তা খুলে দিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

অধ্যাদেশের ধারাগুলি আগেই এক প্রস্ত সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন জেটলি। জানিয়েছিলেন, পাঁচটি ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের অধিকার নিজের হাতেই রাখছে সরকার। প্রতিরক্ষা কারখানা ছাড়াও তালিকায় রয়েছে শিল্প করিডর, গ্রামীণ পরিকাঠামো, আবাসন ও সামাজিক পরিকাঠামো ও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের শিল্প। আজ জেটলি জানালেন পরিকাঠামোর প্রয়োজনে নেওয়া জমিতে শুধুই সরকারি প্রকল্প হবে না। এ ব্যাপারে তাঁর ব্যাখ্যা, “তা না হলে স্মার্ট সিটি তৈরি হবে কী ভাবে? এই ধরনের আধুনিক শহরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কি শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানই থাকবে! বেসরকরি পরিষেবা থাকবে না!”

Advertisement

আগের সরকারের নীতি থেকে সরে আসার কারণ ব্যাখ্যায় জেটলির বক্তব্য, ঐতিহাসিক ভাবেই জমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে ছিল। আবাসন, নগরায়ন, শিল্পায়ন, শহর ও গ্রামে পরিকাঠামো তৈরি যে কোনও ধরনের উন্নয়নেই জমি দরকার। এই তালিকা সীমাহীন। মোদ্দা বিষয় হল, ব্যক্তিস্বার্থের থেকে জনস্বার্থ সব সময়ই বড়। তাই জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা সরকারের হাতেই থাকবে। জবাবে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কে ভি টমাস বলেন, “সরকার এখন কর্পোরেটের হাতে তামাক খাচ্ছে। মোদী সরকারের মোদ্দা উদ্দেশ্য হচ্ছে, জমি নিয়ে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া। সরকারের অধিগ্রহণ করে দেওয়া জমিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিল্প গড়ে মুনাফা করবে ব্যবসায়ীরা। কংগ্রেস এর বিরোধিতা করবে।” অধ্যাদেশটির বিরোধিতার প্রশ্নে জেটলি বলেন, “কেন্দ্রের এই অধ্যাদেশ সব রাজ্যকে মানতেই হবে, সে নির্দেশ কেউ দেয়নি। তবে না মানলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিবেশে পিছিয়ে পড়তে হবে। ইতিহাস এর বিচার করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement