পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জ খারিজ করতে চান সিবিআই ডিরেক্টর রঞ্জিত সিন্হা। ওই কেলেঙ্কারির একটি মামলায় শাস্তি হয়েছে লালু প্রসাদের। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। ব্যস্ত রয়েছেন ভোট প্রচারে।
সিন্হার মতে, যে মামলায় লালুর শাস্তি হয়েছে তার সঙ্গে এই তিনটি মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অভিযুক্তের তালিকা এক। তাঁর কথায়, “একই অপরাধে অন্য একটি মামলায় এক জনের বিচার হোক তা আমি চাই না।” সিবিআই ডিরেক্টর জানান, এই বিষয়ে ডিরেক্টর অফ প্রসিকিউশন ও পি বর্মা, পটনা জোনের প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে তাঁর মতভেদ হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০০(১) ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি এক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বা নির্দোষ প্রমাণিত হলে একই অপরাধ বা একই সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অন্য অপরাধে তাঁর বিচার হতে পারে না। কিন্তু ওই ধারা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেই মনে করছেন ও পি বর্মা। এ দিকে যে ভাবে সিবিআই প্রধান লালু প্রসাদের হয়ে সওয়াল করেছেন তার পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি ও জেডিইউ দু’দলেরই বক্তব্য, বিহারের ওই আমলা রঞ্জিত সিন্হা বরাবরই লালু ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। ইউপিএর প্রথম পর্বে লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনিই ওই আমলাকে রেল পুলিশের ডিজি পদের জন্য মনোনীত করেছিলেন। পরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হয়ে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেন।
শুধু রঞ্জিত সিন্হার সঙ্গে লালু প্রসাদের সুসম্পর্কই একমাত্র কারণ বলে অবশ্য মনে করেছে না বিরোধী শিবির। বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের কথায়, “বিহারে কংগ্রেস ও লালুর দলের জোট হয়েছে। আর আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি সিবিআই কেবলমাত্র কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনেই চলে। এ ভাবে সিবিআই সুপারিশ করে মামলা খারিজ করার জন্য কারুর হয়ে দরবার করেছে বলে আমার জানা নেই।”
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় সিন্হার সুপারিশে আইনি প্রশ্ন বিবেচনার জন্য বিষয়টি সলিসিটর-জেনারেলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাও বিস্মিত করেছে সংশ্লিষ্ট শিবিরকে। কারণ, সিবিআই ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর অব প্রসিকিউশনের মধ্যে মতভেদের ক্ষেত্রে আইনি প্রশ্ন বিবেচনার দায়িত্ব অ্যাটর্নি-জেনারেলের।